ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহারে সাবধান করলো যুক্তরাষ্ট্র

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

চীনের প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে হুয়াওয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের তৈরি এই চিপ ব্যবহার করলে তা মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। এতে ফৌজদারি শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, Ascend 910B, 910C ও 910D চিপগুলো মার্কিন সফটওয়্যার ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি। ফলে এগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এমনকি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এ চিপ ব্যবহার করা হলে তা আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি জানায়, এটি নতুন কোনো আইন নয় বরং একটি পরিষ্কার বার্তা – হুয়াওয়ের উন্নত চিপ ব্যবহারে রফতানি আইন প্রযোজ্য।

রফতানি আইনের বিশেষজ্ঞ কেভিন উল্ফ বলেন, “এটি মূলত একটি প্রকাশ্য ব্যাখ্যা। হুয়াওয়ের তৈরি যেকোনো আধুনিক কম্পিউটিং চিপ ব্যবহার করলেই আইন ভাঙার শামিল হতে পারে।”

নিউজইজার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এনভিডিয়া চিপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারা এখন ব্যাপক হারে হুয়াওয়ের চিপ কিনছে। এই চাহিদা মেটাতে হুয়াওয়ে নিজস্ব আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন লাইন গড়ে তুলেছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহারে সাবধান করলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

চীনের প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে হুয়াওয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের তৈরি এই চিপ ব্যবহার করলে তা মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। এতে ফৌজদারি শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, Ascend 910B, 910C ও 910D চিপগুলো মার্কিন সফটওয়্যার ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি। ফলে এগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এমনকি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এ চিপ ব্যবহার করা হলে তা আইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি জানায়, এটি নতুন কোনো আইন নয় বরং একটি পরিষ্কার বার্তা – হুয়াওয়ের উন্নত চিপ ব্যবহারে রফতানি আইন প্রযোজ্য।

রফতানি আইনের বিশেষজ্ঞ কেভিন উল্ফ বলেন, “এটি মূলত একটি প্রকাশ্য ব্যাখ্যা। হুয়াওয়ের তৈরি যেকোনো আধুনিক কম্পিউটিং চিপ ব্যবহার করলেই আইন ভাঙার শামিল হতে পারে।”

নিউজইজার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এনভিডিয়া চিপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তারা এখন ব্যাপক হারে হুয়াওয়ের চিপ কিনছে। এই চাহিদা মেটাতে হুয়াওয়ে নিজস্ব আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন লাইন গড়ে তুলেছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।