ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনসাম্বল থিয়েটার এর “আই কান্ট ব্রিদ”: নিঃশ্বাসরুদ্ধ সময়ের একক প্রতিবাদ আবারও শিল্পকলার মঞ্চে

সময়ের গলা চেপে ধরা অমানবিকতা যখন নিঃশ্বাস নিতে দেয় না, তখন জন্ম নেয় একটি আর্তনাদ—“আই কান্ট ব্রিদ।” এই আর্তনাদই রূপ পেয়েছে অনসাম্বল থিয়েটারের আলোচিত মঞ্চনাটকে, যার নাম ‘আই কান্ট ব্রিদ’।

প্রথম মঞ্চায়নের অভাবনীয় সাড়া ও আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার পর নাটকটি আবারও মঞ্চে আসছে ২৩ মে, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে।

নাটকটি শুধু একটি প্রযোজনা নয়—এটি নিপীড়িত মানুষের নিঃশ্বাসরুদ্ধ বাস্তবতার এক শিল্পিত প্রতিবাদ। একক অভিনয়ে আবুল মনসুর এই নিঃশ্বাসরুদ্ধ সমাজের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। তিনি কেবল একজন চরিত্র নন—তিনি একা দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করছেন শত সহস্র রুদ্ধকণ্ঠ মানুষের আর্তনাদ।

প্রথম প্রদর্শনীতে দর্শকের আবেগ-প্রতিক্রিয়া ছিল অভূতপূর্ব। অনেকেই কেঁদে ফেলেন, নীরবে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। প্রবীণ নাট্যবোদ্ধা মুস্তাকীম বিল্লাহ বলেন, “এটি যেন নিঃশ্বাস নিতে না-পারা মানুষের জীবন্ত চিৎকার। এ নাটক আমাদের জীবনের আয়না।”

নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক জুয়েল কবির, যিনি পরিচিত বায়োগ্রাফিক্যাল নাট্যকার হিসেবে,নাট্যচর্চায় নিজস্ব ভাষা গড়ে তোলার জন্য। মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন রিবন খন্দকার, শিল্প নির্দেশনায় ড. আইরিন পারভীন লোপা, আলো পরিকল্পনায় পলক ইসলাম এবং সংগীতে এ বি এম তানভীর আলম সজিব।

 

অনসাম্বল থিয়েটার দীর্ঘদিন ধরেই ময়মনসিংহ বিভাগে সচেতনতা ও প্রতিবাদী থিয়েটারের পথিকৃৎ। তবে ‘আই কান্ট ব্রিদ’ যেন তাদের কর্মকাণ্ডের এক নতুন, ঐতিহাসিক সংযোজন।

এই নাটকের প্রাণপুরুষ মো. আবুল মনসুর শুধুই একজন অভিনেতা নন—তিনি এই সময়ের এক সাংস্কৃতিক যোদ্ধা। তার কণ্ঠে প্রতিটি সংলাপ যেন সামাজিক দায়বদ্ধতার এক সাহসী উচ্চারণ।

নাটকের অভিনেতা আবুল মনসুর বলেন, “এই নাটক দেখা মানে শুধু একটি শিল্পকর্ম উপভোগ করা নয়—বরং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর এক নৈতিক উপস্থিতি।”
নির্দেশক জুয়েল কবির বলেন, “এই নাটক দেখতে আসা মানে সময়ের কাছে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া।”
এই নাটক শুধুই একটি প্রদর্শনী নয়—এটি এক উপলব্ধি, এক প্রতিবাদ, যা শিল্পের ভাষায় তুলে ধরছে সময়ের নির্মমতা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

অনসাম্বল থিয়েটার এর “আই কান্ট ব্রিদ”: নিঃশ্বাসরুদ্ধ সময়ের একক প্রতিবাদ আবারও শিল্পকলার মঞ্চে

আপডেট সময় : ০৩:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

সময়ের গলা চেপে ধরা অমানবিকতা যখন নিঃশ্বাস নিতে দেয় না, তখন জন্ম নেয় একটি আর্তনাদ—“আই কান্ট ব্রিদ।” এই আর্তনাদই রূপ পেয়েছে অনসাম্বল থিয়েটারের আলোচিত মঞ্চনাটকে, যার নাম ‘আই কান্ট ব্রিদ’।

প্রথম মঞ্চায়নের অভাবনীয় সাড়া ও আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার পর নাটকটি আবারও মঞ্চে আসছে ২৩ মে, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে।

নাটকটি শুধু একটি প্রযোজনা নয়—এটি নিপীড়িত মানুষের নিঃশ্বাসরুদ্ধ বাস্তবতার এক শিল্পিত প্রতিবাদ। একক অভিনয়ে আবুল মনসুর এই নিঃশ্বাসরুদ্ধ সমাজের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন। তিনি কেবল একজন চরিত্র নন—তিনি একা দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করছেন শত সহস্র রুদ্ধকণ্ঠ মানুষের আর্তনাদ।

প্রথম প্রদর্শনীতে দর্শকের আবেগ-প্রতিক্রিয়া ছিল অভূতপূর্ব। অনেকেই কেঁদে ফেলেন, নীরবে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। প্রবীণ নাট্যবোদ্ধা মুস্তাকীম বিল্লাহ বলেন, “এটি যেন নিঃশ্বাস নিতে না-পারা মানুষের জীবন্ত চিৎকার। এ নাটক আমাদের জীবনের আয়না।”

নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক জুয়েল কবির, যিনি পরিচিত বায়োগ্রাফিক্যাল নাট্যকার হিসেবে,নাট্যচর্চায় নিজস্ব ভাষা গড়ে তোলার জন্য। মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন রিবন খন্দকার, শিল্প নির্দেশনায় ড. আইরিন পারভীন লোপা, আলো পরিকল্পনায় পলক ইসলাম এবং সংগীতে এ বি এম তানভীর আলম সজিব।

 

অনসাম্বল থিয়েটার দীর্ঘদিন ধরেই ময়মনসিংহ বিভাগে সচেতনতা ও প্রতিবাদী থিয়েটারের পথিকৃৎ। তবে ‘আই কান্ট ব্রিদ’ যেন তাদের কর্মকাণ্ডের এক নতুন, ঐতিহাসিক সংযোজন।

এই নাটকের প্রাণপুরুষ মো. আবুল মনসুর শুধুই একজন অভিনেতা নন—তিনি এই সময়ের এক সাংস্কৃতিক যোদ্ধা। তার কণ্ঠে প্রতিটি সংলাপ যেন সামাজিক দায়বদ্ধতার এক সাহসী উচ্চারণ।

নাটকের অভিনেতা আবুল মনসুর বলেন, “এই নাটক দেখা মানে শুধু একটি শিল্পকর্ম উপভোগ করা নয়—বরং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর এক নৈতিক উপস্থিতি।”
নির্দেশক জুয়েল কবির বলেন, “এই নাটক দেখতে আসা মানে সময়ের কাছে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া।”
এই নাটক শুধুই একটি প্রদর্শনী নয়—এটি এক উপলব্ধি, এক প্রতিবাদ, যা শিল্পের ভাষায় তুলে ধরছে সময়ের নির্মমতা।