ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ইতিবাচক হলেও যথেষ্ট নয়’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও এতটুকু যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেছেন ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’।

রোববার (১১ মে) ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যর অন্যতম একজন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়ার ঘটনাকে আমরা ইতিবাচক হিসাবে দেখছি।

আরও বলা হয়, আমরা মনে করি এতটুকুই যথেষ্ট নয়। বিগত সময়েও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের টালবাহানা আমরা লক্ষ্য করেছি। এছাড়াও, আওয়ামী গণহত্যাকারীদের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাও আমরা দেখেছি। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড-ধর্ষণ ও জুলাই গণহত্যার পর যেখানে তড়িৎ গতিতে খুনি লীগের বিচার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে আমরা দেখেছি অনেক জুলাই বিপ্লবী ও আহতযোদ্ধাদের মামলা নিচ্ছে না বিভিন্ন থানা।

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলে; এমনকি রাজধানী শহরেও জুলাইযোদ্ধারা আওয়ামী গণহত্যাকারীদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে। উপরোক্ত বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান এবং পদক্ষেপ আমরা জানতে চাই।

এতে বলা হয়, পাশাপাশি, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যকরি সংস্কার চাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে জনতার পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তা আমলে নিয়ে সংস্কার কার্যক্রমে সরকারকে হাত দিতে হবে। দেশের প্রতিটি বিভাগে ট্রাইব্যুনালের অফিস স্থাপন করতে হবে; যেন তৃণমূলে ফ্যাসিবাদের ভুক্তভোগী নাগরিকদের আইনি সেবা পেতে কোনো বেগ পেতে না হয়।

আমরা আরও দেখছি, আওয়ামী গণহত্যাকারী এবং তাদের ফ্যাসিবাদের প্রতি সমর্থন উৎপাদনকারী সাংস্কৃতিক, মিডিয়া এবং অর্থনৈতিক ফ্রন্টগুলো এখনো তাদের স্ব-স্ব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আরো উদ্বেগের সাথে দেখছি, আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং পলাতক গণহত্যাকারীদের অর্থনৈতিক জোগান এখনো অটুট রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সুস্পষ্ট নীতিমালা জানতে চাই।

আওয়ামী লীগের সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাকে অর্ডিন্যান্স জারি করে রাষ্ট্রায়াত্ত ঘোষণা করে নাগরিকদের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও এর ১৪ দলীয় অংশীদাররা; যারা বিগত ১৫ বছরে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার হরণ এবং ফ্যাসিবাদ কায়েমের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন যুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সরকার হিসাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চাই।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এতে বলা হয়, চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে তৈরি হওয়া জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দল, পক্ষ ও মত এবং সরকারকে উপরোক্ত তিনটি দাবি পরিপূর্ণ ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নে এবং জুলাই ঘোষণাপত্রে উপরোক্ত তিনটি দাবির যথাযথ প্রতিফলন রাখতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই আমরা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ইতিবাচক হলেও যথেষ্ট নয়’

আপডেট সময় : ০৮:২২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও এতটুকু যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেছেন ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য’।

রোববার (১১ মে) ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যর অন্যতম একজন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়ার ঘটনাকে আমরা ইতিবাচক হিসাবে দেখছি।

আরও বলা হয়, আমরা মনে করি এতটুকুই যথেষ্ট নয়। বিগত সময়েও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের টালবাহানা আমরা লক্ষ্য করেছি। এছাড়াও, আওয়ামী গণহত্যাকারীদের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতাও আমরা দেখেছি। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড-ধর্ষণ ও জুলাই গণহত্যার পর যেখানে তড়িৎ গতিতে খুনি লীগের বিচার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে আমরা দেখেছি অনেক জুলাই বিপ্লবী ও আহতযোদ্ধাদের মামলা নিচ্ছে না বিভিন্ন থানা।

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলে; এমনকি রাজধানী শহরেও জুলাইযোদ্ধারা আওয়ামী গণহত্যাকারীদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে। উপরোক্ত বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান এবং পদক্ষেপ আমরা জানতে চাই।

এতে বলা হয়, পাশাপাশি, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যকরি সংস্কার চাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে জনতার পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তা আমলে নিয়ে সংস্কার কার্যক্রমে সরকারকে হাত দিতে হবে। দেশের প্রতিটি বিভাগে ট্রাইব্যুনালের অফিস স্থাপন করতে হবে; যেন তৃণমূলে ফ্যাসিবাদের ভুক্তভোগী নাগরিকদের আইনি সেবা পেতে কোনো বেগ পেতে না হয়।

আমরা আরও দেখছি, আওয়ামী গণহত্যাকারী এবং তাদের ফ্যাসিবাদের প্রতি সমর্থন উৎপাদনকারী সাংস্কৃতিক, মিডিয়া এবং অর্থনৈতিক ফ্রন্টগুলো এখনো তাদের স্ব-স্ব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আরো উদ্বেগের সাথে দেখছি, আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং পলাতক গণহত্যাকারীদের অর্থনৈতিক জোগান এখনো অটুট রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সুস্পষ্ট নীতিমালা জানতে চাই।

আওয়ামী লীগের সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাকে অর্ডিন্যান্স জারি করে রাষ্ট্রায়াত্ত ঘোষণা করে নাগরিকদের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও এর ১৪ দলীয় অংশীদাররা; যারা বিগত ১৫ বছরে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার হরণ এবং ফ্যাসিবাদ কায়েমের পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন যুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সরকার হিসাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চাই।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এতে বলা হয়, চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে তৈরি হওয়া জাতীয় ঐক্য নবায়নের সুবর্ণ সুযোগ আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দল, পক্ষ ও মত এবং সরকারকে উপরোক্ত তিনটি দাবি পরিপূর্ণ ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নে এবং জুলাই ঘোষণাপত্রে উপরোক্ত তিনটি দাবির যথাযথ প্রতিফলন রাখতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই আমরা।