আজ থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃবিভাগ অনলাইন বদলি কার্যক্রম। যা চলবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে নির্ধারিত সময়সূচি ও নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকরা অনলাইনে বদলির আবেদন করতে পারবেন। যা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্তরে যাচাই ও অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
বুধবার (৭ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুনের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ৬ মের একটি নির্দেশনার ভিত্তিতে বদলি কার্যক্রমের সময়সূচি ও নিয়মাবলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, ৮ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকরা অনলাইনে বদলির আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তী ধাপে প্রধান শিক্ষক, সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় উপপরিচালক পর্যায়ক্রমে যাচাই ও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করবেন।
এতে আরও বলা হয়, এই অনলাইন বদলি কার্যক্রমের পুরো প্রক্রিয়া ২৩ মের মধ্যে শেষ হবে। আর ২০ মে আবেদনগুলোর স্বয়ংক্রিয় মনোনয়ন সম্পন্ন হবে এবং ২১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব আবেদন যাচাই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বদলির জন্য শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দক্রমে নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে কেউ চাইলে একটি বিদ্যালয়ও নির্বাচন করতে পারবেন। একবার বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিলের জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এক্ষেত্রে, বদলি কার্যক্রমের যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণরূপে ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩’ অনুসরণ করে করতে হবে। আবেদন যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে আবেদন ও কাগজপত্র যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাচাই শেষ করা আবেদন পরবর্তীতে আর পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে না।
অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২১৬টি উপজেলা ও থানায় ইতোমধ্যেই ১০ শতাংশের বেশি শিক্ষক অন্যান্য উপজেলা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। তাই এসব উপজেলা বর্তমানে আন্তঃবিভাগ অনলাইন বদলির আওতাভুক্ত থাকবে না। তবে বাকি ২৭১টি উপজেলা ও থানায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।