ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি

৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন জুলাই ঐক্য।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়

মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আগামী ‘৩৬ জুলাই’র মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে ‘৩৬ জুলাই’ সচিবালয় ঘেরাও দেওয়া হবে। যে সচিবালয়ে বসে এখনো ষড়যন্ত্র করা হয়, সেখান থেকে কাউকে বের করা সম্ভব হবে না। জুলাই শহীদদের রক্ত নিয়ে কাউকে টেন্ডারবাজি করতে দেওয়া হবে না।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাবু এমদাদ বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা এ জঙ্গি সংগঠনের বিচার চাই। আমরা বাংলাদেশপন্থিরা যতদিন বেঁচে আছি, জঙ্গিদের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে হতে দেব না।

জাগ্রত জুলাইয়ের শামিম মাহদি বলেন, হাজারো শিক্ষার্থীর রক্তের সঙ্গে বেইমানি জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মেনে নেব না। আগামী জুলাইয়ের আগে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমরা পুনরায় জুলাই জাগ্রত করে তুলব। আমরা আশ্চর্য হই, জুলাইয়ে শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন। আমাদের ক্যাপ্টেন হাসনাতের ওপর হামলা হয়। ফলে এ ফ্যাসিস্টদের বিচার করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে খুনের রক্ত লেগে আছে। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি

আপডেট সময় : ০১:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন জুলাই ঐক্য।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়

মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আগামী ‘৩৬ জুলাই’র মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে ‘৩৬ জুলাই’ সচিবালয় ঘেরাও দেওয়া হবে। যে সচিবালয়ে বসে এখনো ষড়যন্ত্র করা হয়, সেখান থেকে কাউকে বের করা সম্ভব হবে না। জুলাই শহীদদের রক্ত নিয়ে কাউকে টেন্ডারবাজি করতে দেওয়া হবে না।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাবু এমদাদ বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা এ জঙ্গি সংগঠনের বিচার চাই। আমরা বাংলাদেশপন্থিরা যতদিন বেঁচে আছি, জঙ্গিদের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে হতে দেব না।

জাগ্রত জুলাইয়ের শামিম মাহদি বলেন, হাজারো শিক্ষার্থীর রক্তের সঙ্গে বেইমানি জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মেনে নেব না। আগামী জুলাইয়ের আগে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমরা পুনরায় জুলাই জাগ্রত করে তুলব। আমরা আশ্চর্য হই, জুলাইয়ে শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন। আমাদের ক্যাপ্টেন হাসনাতের ওপর হামলা হয়। ফলে এ ফ্যাসিস্টদের বিচার করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে খুনের রক্ত লেগে আছে। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।