ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হলফনামায় সম্পদে অসংগতি, দুদকের মুখোমুখি সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, হাসপাতালে সিন্ডিকেট গঠন এবং টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে নেমে সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, হলফনামায় বিপুল সম্পদের অসংগতি পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান টিম। দুদকের ঠাকুরগাঁও অফিসে অনুসন্ধান কাজ চলমান রয়েছে বলে শনিবার (৩ মে) সংস্থাটির একজন মহাপরিচালক ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রমেশ চন্দ্র সেনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তার নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ১০ লাখ এক হাজার ৪৯৭ টাকা, যেখানে ২০১৪ সালে তা ছিল মাত্র ৩২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। সম্পদের বিবরণে নানা অসংগতি দেখা গেছে। যেমন ২০১৪ সালের হলফনামায় কোনো আবাসিক বা বাণিজ্যিক দালান দেখানো না হলেও ২০১৮ সালে তিনি উত্তরায় পাঁচটি ফ্ল্যাট দেখান, যার মূল্য ৬১ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের হলফনামায় তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় একটি বাড়ি এবং উত্তরায় একটি ৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত দোতলা বাণিজ্যিক ভবনের কথা উল্লেখ করেন, যার নির্মাণ খরচ দেখানো হয়েছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, এসব সম্পদের অধিকাংশই নামে-বেনামে অর্জিত এবং প্রকৃত মূল্য কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, রমেশ চন্দ্র সেন ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন।

তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রমেশ চন্দ্র সেন সংসদ সদস্য পদ হারান এবং বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট তিনি গ্রেপ্তার হন বলে জানা গেছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

হলফনামায় সম্পদে অসংগতি, দুদকের মুখোমুখি সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, হাসপাতালে সিন্ডিকেট গঠন এবং টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানে নেমে সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, হলফনামায় বিপুল সম্পদের অসংগতি পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান টিম। দুদকের ঠাকুরগাঁও অফিসে অনুসন্ধান কাজ চলমান রয়েছে বলে শনিবার (৩ মে) সংস্থাটির একজন মহাপরিচালক ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রমেশ চন্দ্র সেনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তার নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ১০ লাখ এক হাজার ৪৯৭ টাকা, যেখানে ২০১৪ সালে তা ছিল মাত্র ৩২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। সম্পদের বিবরণে নানা অসংগতি দেখা গেছে। যেমন ২০১৪ সালের হলফনামায় কোনো আবাসিক বা বাণিজ্যিক দালান দেখানো না হলেও ২০১৮ সালে তিনি উত্তরায় পাঁচটি ফ্ল্যাট দেখান, যার মূল্য ৬১ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের হলফনামায় তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় একটি বাড়ি এবং উত্তরায় একটি ৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত দোতলা বাণিজ্যিক ভবনের কথা উল্লেখ করেন, যার নির্মাণ খরচ দেখানো হয়েছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, এসব সম্পদের অধিকাংশই নামে-বেনামে অর্জিত এবং প্রকৃত মূল্য কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, রমেশ চন্দ্র সেন ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন।

তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রমেশ চন্দ্র সেন সংসদ সদস্য পদ হারান এবং বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট তিনি গ্রেপ্তার হন বলে জানা গেছে।