ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ে পড়েছিল অসুস্থ বন্যহাতি, চিকিৎসায় এগিয়ে এলো বন বিভাগ

গভীর ক্ষত নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাটাবাড়ি পাহাড়ে পড়ে থাকা একটি বন্যহাতির জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসে বন বিভাগ। গাজীপুর সাফারি পার্ক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ প্রচেষ্টায় হাতিটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুনরায় মুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি পাহাড়ে এ চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর আগে সেখানকার স্থানীয়রা দেখতে পায় একটি পূর্ণবয়স্ক বন্যহাতি পাহাড়ের ঢালে খুড়িয়ে হাঁটে। পরে তারা বিষয়টি জানায় বন বিভাগকে। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়।

গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি টিম এবং নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সহায়তায় প্রথমে হাতিটিকে ট্রাঙ্কুলাইজার ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। পরে তার পায়ের ক্ষতস্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আরেকটি ইনজেকশনের মাধ্যমে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হয়। চিকিৎসা শেষে হাতিটি ধীরে ধীরে পাহাড়ের গহীনে ফিরে যায় এবং তার দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে মিশে যায়।

এ অভিযানে অংশ নেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ীর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন এবং মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

চিকিৎসকরা জানান অপারেশন সফল হয়েছে। হাতিটির পায়ের ক্ষত ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেরে উঠবে বলে আশা করছেন তারা। বন বিভাগ বলছে হাতিটিকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে এবং পুনরায় যাতে কোনো বিপদে না পড়ে সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

পাহাড়ে পড়েছিল অসুস্থ বন্যহাতি, চিকিৎসায় এগিয়ে এলো বন বিভাগ

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

গভীর ক্ষত নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাটাবাড়ি পাহাড়ে পড়ে থাকা একটি বন্যহাতির জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসে বন বিভাগ। গাজীপুর সাফারি পার্ক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ প্রচেষ্টায় হাতিটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুনরায় মুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ি পাহাড়ে এ চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর আগে সেখানকার স্থানীয়রা দেখতে পায় একটি পূর্ণবয়স্ক বন্যহাতি পাহাড়ের ঢালে খুড়িয়ে হাঁটে। পরে তারা বিষয়টি জানায় বন বিভাগকে। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়।

গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি টিম এবং নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সহায়তায় প্রথমে হাতিটিকে ট্রাঙ্কুলাইজার ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। পরে তার পায়ের ক্ষতস্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আরেকটি ইনজেকশনের মাধ্যমে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হয়। চিকিৎসা শেষে হাতিটি ধীরে ধীরে পাহাড়ের গহীনে ফিরে যায় এবং তার দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে মিশে যায়।

এ অভিযানে অংশ নেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ীর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন এবং মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

চিকিৎসকরা জানান অপারেশন সফল হয়েছে। হাতিটির পায়ের ক্ষত ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেরে উঠবে বলে আশা করছেন তারা। বন বিভাগ বলছে হাতিটিকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে এবং পুনরায় যাতে কোনো বিপদে না পড়ে সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।