নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১০টি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলার সাতহাজারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ এপ্রিল বুধবার লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সাতহাজারি গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়ির দেয়াল ভাঙা, টিনের বেড়ায় কোপানোর দাগ স্পষ্ট। ঘরের মধ্যে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে আছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (সত্রহাজারি) বর্তমান সদস্য সাঈদ মিনার ও সাবেক সদস্য আক্তার কাজীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৮টার দিকে আক্তার কাজী তার লোকজন নিয়ে সাঈদ মিনা সমর্থক জলিল মোল্যা, মফিজুর মোল্যা, মান্নান মোল্যা, নজরুল মোল্যা, আবু তাহের মিনা, জব্বার মিনা, তারিকুল মিনা ও নাঈম মিনাসহ অন্তত ১০টি পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
ভুক্তভোগী জলিল মোল্যা বলেন, ‘বাজার থেকে বাড়ি ফিরে দেখি, আমার ঘরে কিছুই নেই। বাক্সের তালা ভাঙা, ৫১ হাজার টাকা ও বউয়ের স্বর্ণালংকার নেই। ব্যবসার জন্য জমানো টাকাও নেই।’
মফিজুর মোল্যা জানান, ‘আমি রাজনীতি করি না। মিনা বংশের সঙ্গে আত্মীয়তার কারণে আমার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। নগদ ২১ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার এবং ৫ বস্তা ধনিয়া, ৫ বস্তা কলাই ও ১০ বস্তা ধান লুট করেছে।’
অপরদিকে, অভিযুক্ত আক্তার কাজী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে সত্য, তবে লুটপাটের অভিযোগ মিথ্যা এবং এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।