বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ডিসেম্বর মাস একটি গ্রহণযোগ্য সময়সীমা; এর পর নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
৩১ মার্চ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মঈন খান উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা চলছে, যাতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যায়। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। তাই সময়ই বলে দেবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে দ্রুত নির্বাচন দেওয়াই তাদের জন্য উত্তম পন্থা এবং এর মাধ্যমে তারা সম্মানজনকভাবে প্রস্থানের সুযোগ পাবেন।”
এর আগে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বক্তৃতায় জানান, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি বলেন, কিছুটা সময় নিয়ে নির্বাচন করলে সংস্কারের সুযোগ পাওয়া যাবে এবং এতে নির্বাচন আরও বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ হবে।
এদিকে, সম্প্রতি ইউনূস সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম বলেন, চলতি বছর নির্বাচন আয়োজন কঠিন হবে; কারণ পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভালো অবস্থায় নেই।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেন, “আমরা চাই এ বছরই গণতন্ত্র ফিরে আসুক।”