জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ-স্তরের সম্মেলনের পরিধি, পদ্ধতি, বিন্যাস এবং আয়োজন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
২৫ মার্চ মঙ্গলবার মালয়েশিয়া এবং ফিনল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মো. সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী উন্মুক্ত বিতর্ক পর্বে অংশ নিয়ে প্রস্তাবের ওপর ভোটের আহ্বান জানান, কারণ রাশিয়া কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল যা বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি। পরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নিলে প্রস্তাবটি ১৪১ ভোটে গৃহীত হয়। প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি, তবে ১০টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়টি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ঢাকা আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী, যিনি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন, এর আগে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দিল্লি, ইসলামাবাদ ও নিউইয়র্কে বিভিন্ন কূটনৈতিক পদে কাজ করেছেন।
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত সৃষ্টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।