ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদন ও ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের অবনতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) তাদের ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ ক্রমশ অবনতি হচ্ছে।

প্রতিবেদনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতাদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে; সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইউএসসিআইআরএফ ভারতের বহুত্ববাদী সমাজকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং তাদের এই প্রচেষ্টা একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা প্রতিফলিত করে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে যে, ইউএসসিআইআরএফ বারবার ভারতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন প্রকাশ করছে, যা তাদের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, ইউএসসিআইআরএফ নিজেই একটি ‘উদ্বেগের সংস্থা’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

প্রতিবেদনে র-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতাদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, এই ধরনের দাবি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ভারত সরকার ইউএসসিআইআরএফ-এর প্রতিবেদনের সুপারিশগুলিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ভারতের গণতান্ত্রিক ও সহনশীল ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করতে পারবে না।

এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিতর্ক আরও তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদন ও ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের অবনতি

আপডেট সময় : ১১:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) তাদের ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ ক্রমশ অবনতি হচ্ছে।

প্রতিবেদনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতাদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে; সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইউএসসিআইআরএফ ভারতের বহুত্ববাদী সমাজকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং তাদের এই প্রচেষ্টা একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা প্রতিফলিত করে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে যে, ইউএসসিআইআরএফ বারবার ভারতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন প্রকাশ করছে, যা তাদের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, ইউএসসিআইআরএফ নিজেই একটি ‘উদ্বেগের সংস্থা’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

প্রতিবেদনে র-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতাদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, এই ধরনের দাবি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ভারত সরকার ইউএসসিআইআরএফ-এর প্রতিবেদনের সুপারিশগুলিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ভারতের গণতান্ত্রিক ও সহনশীল ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করতে পারবে না।

এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বিতর্ক আরও তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।