ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
করোনা ভাইরাসের টিকা ক্রয়ে ২২হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাবেক এমপি শিল্পপতি সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

  • ২৪ বার্তাকক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করোনাভাইরাস টিকা ক্রয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

১৭ মার্চ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা বিতরণের খরচ ৪০ হাজার কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা কেনার জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। টিকা কেনার ওই চুক্তি প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, কোভিড-১৯ টিকা কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি এবং ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যা আইনের লঙ্ঘন।

এছাড়া, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রতিটি ডোজ থেকে অন্যান্য সব খরচ মিটিয়ে ৭৭ টাকা করে লাভ করেছে। সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা আনলে প্রতি ডোজে যে টাকা বাঁচত, তা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ বেশি টিকা কেনা যেত।

দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস টিকা ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের চেষ্টা করছে দুদক।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

করোনা ভাইরাসের টিকা ক্রয়ে ২২হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

সাবেক এমপি শিল্পপতি সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ১১:৫৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করোনাভাইরাস টিকা ক্রয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

১৭ মার্চ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা বিতরণের খরচ ৪০ হাজার কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা কেনার জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। টিকা কেনার ওই চুক্তি প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ উল্লেখ করে অভিযোগে বলা হয়, কোভিড-১৯ টিকা কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ করা হয়নি এবং ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যা আইনের লঙ্ঘন।

এছাড়া, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রতিটি ডোজ থেকে অন্যান্য সব খরচ মিটিয়ে ৭৭ টাকা করে লাভ করেছে। সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা আনলে প্রতি ডোজে যে টাকা বাঁচত, তা দিয়ে আরও ৬৮ লাখ বেশি টিকা কেনা যেত।

দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এই অনুসন্ধানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস টিকা ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের চেষ্টা করছে দুদক।