মঠবাড়িয়ায় চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ও সাংবাদিক কন্যা ঊর্মিকে (৯) ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছগীর আকনের (৪৫) ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে, সারাদেশে ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন বক্তারা।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টায় মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বক্তারা বলেন, সিরিয়াল অপরাধী ছগীর আকন একাধিক হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। তার দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে, ধর্ষকদের পক্ষ নিয়ে কোনো আইনজীবী যাতে আদালতে দাঁড়াতে না পারে, সেই দাবি জানান তারা।
২০১৭ সালের ২১ জুলাই বিকেলে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্রী ঊর্মি। দুই দিন পর, ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে একটি পরিত্যক্ত বাগানের নালায় তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। সেই রাতেই নিহত ঊর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ছগীর আকনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দেয়।
পরবর্তীতে জানা যায়, ছগীর আকন ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়ায় তন্নী আক্তার নামে আরেক কিশোরীকে হত্যার সঙ্গেও জড়িত। এছাড়াও, একাধিক গরু জবাই করে হত্যার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ছগীর আকন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত কুদ্দুস আকনের ছেলে। বর্তমানে তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। তবে, তার জামিন বাতিল করে দ্রুত শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
ঊর্মি হত্যা মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে দ্রুত রায় ঘোষণা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান কবীর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জামাল এইচ আকন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বুলেট, সাংবাদিক ইমন চৌধুরী, শিক্ষক প্রতিনিধি দোলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাইফুল ইসলাম, রাসেল রায়হান, ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমেদ, ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল অভি ও নিহত ঊর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।