রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় র্যাব-২ এর অভিযানে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মো. বিল্লু মিয়া (৩৫) এবং তার তিন সহযোগী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, লুণ্ঠিত সিএনজি এবং ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের গোপন অভিযানে গ্রেপ্তার
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল (৮ মার্চ) রাতে মোহাম্মদপুর থানার বাঁশবাড়ী এলাকা থেকে চক্রের প্রধান মো. বিল্লু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তল্লাশিকালে তার কোমরে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, পকেটে পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি খালি কার্তুজ পাওয়া যায়।
বিল্লু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দীর্ঘদিন ধরে র্যাবের পরিচয়ে রাজধানীতে ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র বেচাকেনা ও সিএনজি ছিনতাই করে আসছিল। তারা মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল।
অভিযানে অস্ত্র ও লুণ্ঠিত সিএনজি উদ্ধার
বিল্লু মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মোহাম্মদপুরের লাউতলা এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ১) আবু জাহের (৩০), ২) আল আমিন ওরফে পাঠা আল আমিন (২০), ৩) মো. আলমগীর (৩২), অভিযানের সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দলের দুই সদস্য—মো. রাজা (৩৬) ও মো. নাগর (৩০) পালিয়ে যায়।
আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসামগ্রী
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশা, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, রিভলভার, পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, চাকু, স্ক্রু ড্রাইভার, প্লায়ার্স, সামুরাই, শাবল এবং দুইটি র্যাব-পুলিশ সদৃশ কালো জ্যাকেট ও ক্যাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডাকাতির অভিনব কৌশল
র্যাব জানায়, ডাকাত দলের সদস্যরা প্রথমে নিজেদের র্যাব পরিচয়ে টার্গেট এলাকায় প্রবেশ করত। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করত এবং ছিনতাই করা সিএনজিতে পালিয়ে যেত।
র্যাবের বক্তব্য
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু বলেন,
“গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি পলাতক আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।