যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগযশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস এবং তাঁর ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে কায়বা ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার শাহাজাহান কবির এ অভিযোগ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে চাল লোড করে কয়েকটি ট্রলি নিজের ডিলার পয়েন্টের উদ্দেশ্যে পাঠান। তবে পথিমধ্যে বাগআঁচড়ার বকুলতলা এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রুহুল কুদ্দুস ও তাঁর ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুর নেতৃত্বে ট্রলিগুলো থামানো হয়।
ড্রাইভারদের জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজেদের গোডাউনে নামিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন ডিলার শাহাজাহান কবির। তিনি জানান, চাল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কুদ্দুসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে গালাগাল ও হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনার খবর পেয়ে বকুলতলায় গিয়ে কুদ্দুস চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে চারটি চাল বোঝাই ট্রলি আটক থাকার বিষয়টি দেখতে পান। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কালু দ্রুত ট্রলিগুলো নিয়ে চলে যেতে বলেন।
কেন ট্রলি আটকে রাখা হয়েছিল, জানতে চাইলে কালু দাবি করেন যে তিনি ডিলারের কাছে টাকা পাবেন, তাই ট্রলিগুলো আটকেছিলেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস অভিযোগটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চাল লুটের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোনো চাল লুট করিনি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে বলে ট্রলি আটকেছিল, পরে ছেড়ে দিয়েছে।”
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান বলেন,”আমি বিষয়টি শুনেছি। ওসি সাহেবকে চাল উদ্ধার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশের পর জানতে পারেন, চালবোঝাই ট্রলিগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।