গাছের স্বাভাবিক জীবন প্রবাহ সচল ও সুরক্ষায় গাছ থেকে পেরেক অপসারনের এক ব্যতিক্রমধমী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান উদ্বোধন করেন।
৫মার্চ বুধবার সকালে পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও গাছের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সার্কিট হাউজ চত্বরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এসময় তিনি গাছের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “গাছ আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ আমরা অনেক সময় অসচেতনভাবে গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগাই বা ক্ষতি করি। এটি শুধু গাছের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং আমাদের নিজেদের জন্যও বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেন, “গাছের গায়ে পেরেক লাগানোর ফলে ধীরে ধীরে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শেষ পর্যন্ত গাছটি মারা যেতে পারে। এজন্য আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে এবং গাছ সংরক্ষণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন ও বন বিভাগের এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শহরকে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব রাখতে চাই।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শুধুমাত্র এক মাসের জন্য নয়, যতদিন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন সড়ক ও সরকারি স্থাপনার আশপাশে থাকা গাছগুলো সম্পূর্ণ পেরেকমুক্ত না হবে, ততদিন এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ শামীম রেজা মিঠু বলেন, “আমাদের এই কার্যক্রম অফিসিয়ালি এক মাসের জন্য নির্ধারিত হলেও যতদিন পর্যন্ত গাছের পেরেক অপসারণ না হয়, ততদিন পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে। আমরা চাই গাছগুলোর সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে।
তিনি আরও বলেন, “গাছের প্রতি আমাদের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। তাই আমি সকল নাগরিককে আহ্বান জানাই, গাছের গায়ে পেরেক বা অন্য কোনো ক্ষতিকর বস্তু না লাগিয়ে সচেতন হোন এবং অন্যদেরও সচেতন করুন। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ কর্মকর্তা চিন্ময় মধুসহ, জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের এমন উদ্যোগকে এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করেন, এমন উদ্যোগ নিয়মিত হলে শহরকে সবুজ, দূষণমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।