ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই!

গত ফেব্রুয়ারিতেই রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার!

  • অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

গত ফেব্রুয়ারি মাসে শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলেই রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবাসীরা দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ২ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৬ কোটি ডলার। গত জানুয়ারিতে এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

গত বুধবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই। গত ৩০ জানুয়ারি যা ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই দিন ছিল ২০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। আট মাসে বেশি এসেছে ৩৫৫ কোটি ডলার, যা ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। এসব কারণে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে।

বিগত ২০২২ সালের আগস্টে অবশ্য রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। বিগত সরকারের সময়ে প্রচুর ডলার বিক্রির কারণে তা দ্রুত কমে যায়। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ডলার বাজারে খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, রেমিট্যান্স বাড়ার অন্যতম কারণ অর্থ পাচার কমে যাওয়া।

এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা পূর্ববর্তী সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ আরও বাড়লে, মাসিক রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন মাইলফলক স্থাপন হবে। এমন প্রবাহের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের নীতিমালা ও প্রবাসী কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলো আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান আরও সুদৃঢ় হবে তারা আশা করছেন।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের প্রথম ২৩ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই!

গত ফেব্রুয়ারিতেই রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার!

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

গত ফেব্রুয়ারি মাসে শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলেই রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবাসীরা দৈনিক গড়ে ৯ কোটি ২ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৬ কোটি ডলার। গত জানুয়ারিতে এসেছিল ২১৯ কোটি ডলার। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

গত বুধবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই। গত ৩০ জানুয়ারি যা ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই দিন ছিল ২০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। আট মাসে বেশি এসেছে ৩৫৫ কোটি ডলার, যা ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। রেমিট্যান্সের এই প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। এসব কারণে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে।

বিগত ২০২২ সালের আগস্টে অবশ্য রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। বিগত সরকারের সময়ে প্রচুর ডলার বিক্রির কারণে তা দ্রুত কমে যায়। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে ডলার বাজারে খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, রেমিট্যান্স বাড়ার অন্যতম কারণ অর্থ পাচার কমে যাওয়া।

এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা পূর্ববর্তী সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ আরও বাড়লে, মাসিক রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন মাইলফলক স্থাপন হবে। এমন প্রবাহের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের নীতিমালা ও প্রবাসী কল্যাণমূলক উদ্যোগগুলো আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান আরও সুদৃঢ় হবে তারা আশা করছেন।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালের প্রথম ২৩ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য।