গাছ কেটে রাস্তা আটকে দিয়ে প্রায় ৪০টি গাড়ীতে ডাকাতি করেছে ৪০জনের একটি ডাকাত দল। এই সময়, বিভিন্ন গাড়ি থেকে জিনিসপত্র লুট করা হয় এবং যাত্রীদের মারধর করা হয়।
শুক্রবার রাতে, প্রায় রাত সাড়ে ১টার দিকে, সাঁথিয়া- পাবনা সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের কাছাকাছি সড়কে গাছ ফেলে অন্তত ৪০টি গাড়িতে ডাকাতি চালানো হয়। একের পর এক গাড়ি আটকা পড়লে, ডাকাতদের দল তাদের অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ডাকাত দলের সদস্যরা সড়কের ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দেয়। এরপর, বাস, প্রাইভেটকার, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকা পড়ে। এরপর হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকু নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাত দল গাড়ি গুলোর ওপর আক্রমণ করে।
গাড়ির গেট খুলতে দেরি হওয়ায়, কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে ডাকাতরা। এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলা এই তাণ্ডবে, যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয় তারা।
একটি মাইক্রোবাসে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী, এবং তার গাড়িতেও ডাকাতরা হামলা চালিয়ে তাদের থেকে সব কিছু নিয়ে যায়। এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন গাড়িতে, যার ফলে একাধিক গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়ে, যাত্রীরা হেনস্থা হন।
এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাকাতির শিকার হওয়া এক ভুক্তভোগী, আব্দুস সালাম লিখেছেন, “আমরা যে সড়কে ছিলাম, সেখানে ডাকাতদের হামলা শিকার হয়ে আমাদের মোবাইল ও টাকা সব কিছু চলে গেছে। গেট খুলতে দেরি হলে, গাড়ির ড্রাইভারকে চাকু ধরে ভয় দেখানো হয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমাদের গাড়িতে কোনো সহযাত্রীকে আঘাত করা না হলেও, অন্য গাড়িতে যাত্রীদের মারধর ও তাদের পণ্য লুট করে নেয়।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু জানালেন, “এ রাস্তা দিয়ে সাধারণত ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেশ কিছু গাড়ি চলাচল করে। সম্ভবত ডাকাতরা জানতো, তাই এই রাস্তা বেছে নিয়েছে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে।”
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, “পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কিছু গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে, তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ধরনের ঘটনা পাবনা এবং আশপাশের এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।