ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি রং-চং দিয়ে ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না : উপদেষ্টা আসন্ন ঈদে শপিংমলগুলোতে থাকবে র‍্যাবের বিশেষ নজরদারি কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বাপার ৮ দফা দাবি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে : উপদেষ্টা আসিফ পাকিস্তানে ভূমিকম্পের সময় কারাগার থেকে পালাল ২ শতাধিক কয়েদি এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব : অর্থ উপদেষ্টা ময়মনসিংহ সীমান্তে ২২ জনকে বিএসএফের পুশইন নবাবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোখলেছকে পিটিয়ে হত্যা, হামলায় আহত ৭ জন বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব বানাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান

বরগুনায় নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী সংলগ্ন বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের বসতঘরে পানি প্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) সরেজমিন বরগুনার সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা নামক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার একটি রিং বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পনি প্রবেশ করছে। নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা আরো বাড়লে আবারো এসব এলাকার ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে মূল বেড়িবাঁধের ভিতরের অংশের বাসিন্দারা নিরাপদে রয়েছেন।

মো. হালিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গতকাল বাঁধ ভেঙে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এখন আবারো জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকবো, সে ব্যবস্থা আমাদের নেই।

আরেক বাসিন্দা মো. আবুল বাসার বলেন, পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরে থাকার মতো পরিবেশ নেই। ঘরে মধ্যে এখন রান্না করে খাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আমরা দিন আনি দিন খাই, অন্য কোথাও জমি কিনে থাকার সমার্থ নেই।

মো. জহিরুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, গতকালই ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আজকে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারো পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বর্তমানে খাটের ওপর চুলা রেখে রান্না করে খেতে হচ্ছে আমাদের। আমরা চাই আমাদের নদী সংলগ্ন যে বাঁধটি আছে সেটি শক্তভাবে নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, যে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে তা মূল বেড়িবাঁধ নয়। নদী সংলগ্ন রিং বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া যে সব বাসিন্দার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে তারা মূল বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। পানি প্রবেশের কারণে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি

বরগুনায় নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় : ০৮:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার বিভিন্ন নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী সংলগ্ন বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের বসতঘরে পানি প্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) সরেজমিন বরগুনার সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা নামক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার একটি রিং বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পনি প্রবেশ করছে। নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা আরো বাড়লে আবারো এসব এলাকার ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে মূল বেড়িবাঁধের ভিতরের অংশের বাসিন্দারা নিরাপদে রয়েছেন।

মো. হালিম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গতকাল বাঁধ ভেঙে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এখন আবারো জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকবো, সে ব্যবস্থা আমাদের নেই।

আরেক বাসিন্দা মো. আবুল বাসার বলেন, পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরে থাকার মতো পরিবেশ নেই। ঘরে মধ্যে এখন রান্না করে খাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আমরা দিন আনি দিন খাই, অন্য কোথাও জমি কিনে থাকার সমার্থ নেই।

মো. জহিরুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা বলেন, গতকালই ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আজকে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারো পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বর্তমানে খাটের ওপর চুলা রেখে রান্না করে খেতে হচ্ছে আমাদের। আমরা চাই আমাদের নদী সংলগ্ন যে বাঁধটি আছে সেটি শক্তভাবে নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, যে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে তা মূল বেড়িবাঁধ নয়। নদী সংলগ্ন রিং বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া যে সব বাসিন্দার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে তারা মূল বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। পানি প্রবেশের কারণে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।