ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি রং-চং দিয়ে ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না : উপদেষ্টা আসন্ন ঈদে শপিংমলগুলোতে থাকবে র‍্যাবের বিশেষ নজরদারি কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বাপার ৮ দফা দাবি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে : উপদেষ্টা আসিফ পাকিস্তানে ভূমিকম্পের সময় কারাগার থেকে পালাল ২ শতাধিক কয়েদি এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব : অর্থ উপদেষ্টা ময়মনসিংহ সীমান্তে ২২ জনকে বিএসএফের পুশইন নবাবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোখলেছকে পিটিয়ে হত্যা, হামলায় আহত ৭ জন বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব বানাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান

পৃথিবীকে রক্ষায় ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান ড. ইউনূসের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পৃথিবীকে রক্ষায় ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার জন্য।

শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের টোকিওতে সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, আমরা যে সভ্যতা তৈরি করছি, তা একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা, যা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে।

ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান সভ্যতার কাঠামোর মধ্যে মানবজাতির টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ওপর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ ধারণা মূলত তিনটি শূন্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা- শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। তার মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেই এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এখন সবাই কেবল তাদের মুনাফা সর্বাধিক করতে চাচ্ছে।

বিশ্বের সম্পদের সিংহভাগ এখন খুব অল্প কয়েকজনের হাতে কেন্দ্রীভূত, যাকে তিনি এক অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বেকারত্বের সমস্যা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জগুলোর দিকেও আলোকপাত করেন।

‘থ্রি জিরো ক্লাব’ সম্পর্কে তিনি বলেন, পাঁচজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে একটি থ্রি জিরো ক্লাব গঠন করতে পারে, যেখানে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে যে তারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করবে না।

তরুণ প্রজন্মকে নতুন এক বিশ্ব গড়তে সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, চাকরি মানুষের সৃজনশীলতাকে দমন করে।

মানুষের সহজাত উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন,  ‘যদি তোমার মধ্যে সৃজনশীলতা না থাকে, তবে তুমি কিছুই নও…প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সৃজনশীলতা আছে।’

তিনি উদ্যোক্তা তৈরি করতে সামাজিক ব্যবসায় ক্লাব প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘একটি নতুন পৃথিবী কল্পনা করো, কারণ কল্পনা তোমাকে নিজেকে উন্মুক্ত করার ক্ষমতা দেয়।’

ড. ইউনূস অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের জানান কীভাবে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক থাকাকালে পাশের একটি ছোট গ্রামে ক্ষুদ্রঋণের যাত্রা শুরু করেন।

অনুষ্ঠানে সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বিশ্বব্যাপী সামাজিক উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুজুকিও বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি

পৃথিবীকে রক্ষায় ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান ড. ইউনূসের

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বর্তমান সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পৃথিবীকে রক্ষায় ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার জন্য।

শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের টোকিওতে সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, আমরা যে সভ্যতা তৈরি করছি, তা একটি আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা, যা পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেবে।

ড. ইউনূস বলেন, বর্তমান সভ্যতার কাঠামোর মধ্যে মানবজাতির টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ওপর ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ ধারণা মূলত তিনটি শূন্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা- শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। তার মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেই এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এখন সবাই কেবল তাদের মুনাফা সর্বাধিক করতে চাচ্ছে।

বিশ্বের সম্পদের সিংহভাগ এখন খুব অল্প কয়েকজনের হাতে কেন্দ্রীভূত, যাকে তিনি এক অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বেকারত্বের সমস্যা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জগুলোর দিকেও আলোকপাত করেন।

‘থ্রি জিরো ক্লাব’ সম্পর্কে তিনি বলেন, পাঁচজন ব্যক্তি একত্রিত হয়ে একটি থ্রি জিরো ক্লাব গঠন করতে পারে, যেখানে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে যে তারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করবে না।

তরুণ প্রজন্মকে নতুন এক বিশ্ব গড়তে সৃজনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, চাকরি মানুষের সৃজনশীলতাকে দমন করে।

মানুষের সহজাত উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন,  ‘যদি তোমার মধ্যে সৃজনশীলতা না থাকে, তবে তুমি কিছুই নও…প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই সৃজনশীলতা আছে।’

তিনি উদ্যোক্তা তৈরি করতে সামাজিক ব্যবসায় ক্লাব প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘একটি নতুন পৃথিবী কল্পনা করো, কারণ কল্পনা তোমাকে নিজেকে উন্মুক্ত করার ক্ষমতা দেয়।’

ড. ইউনূস অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের জানান কীভাবে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক থাকাকালে পাশের একটি ছোট গ্রামে ক্ষুদ্রঋণের যাত্রা শুরু করেন।

অনুষ্ঠানে সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

বিশ্বব্যাপী সামাজিক উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট সুজুকিও বক্তব্য রাখেন।