ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি রং-চং দিয়ে ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না : উপদেষ্টা আসন্ন ঈদে শপিংমলগুলোতে থাকবে র‍্যাবের বিশেষ নজরদারি কোরবানির বর্জ্য অপসারণে বাপার ৮ দফা দাবি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে : উপদেষ্টা আসিফ পাকিস্তানে ভূমিকম্পের সময় কারাগার থেকে পালাল ২ শতাধিক কয়েদি এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব : অর্থ উপদেষ্টা ময়মনসিংহ সীমান্তে ২২ জনকে বিএসএফের পুশইন নবাবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোখলেছকে পিটিয়ে হত্যা, হামলায় আহত ৭ জন বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব বানাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান

বৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে নুয়ে পড়েছে পাকা ধান

সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের। ভারী বৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে কৃষকের জমির পাকা ধান নুয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে জেলার বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকালও মুষলধারে বৃষ্টি ও ব্যাপক বাতাস হয়। এর ফলে অনেক কৃষকের জমির পাকা ধান নুয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে গরুর খড়। ধান কাটার শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। বৃষ্টির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমিক ও কৃষকদের।

কুঁড়িগ্রাম থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিক মুহাম্মদ আলী বলেন, বাসাইলে ১২ দিন ধরে এসেছি। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। আজও সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছে। মাঠে কাজ করতে পারছি না। কাজ বাদ দিয়ে বসে আছি।

শেরপুর থেকে আসা শ্রমিক জাহিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য কাজ করতে পারছি না। গতকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বসে আছি। কাজ করতে পারলে টাকা পাব, নইলে পাব না। আজ দুইদিন ধরে আমাদের কাজ বন্ধ। এক হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করতে এসেছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমাদের বসেই দিন কাটতেছে।

কৃষক লাল মাহমুদ বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে আমার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান কাটা কষ্ট হয়ে যাবে। এই ধান কাটতে সময় লাগে বেশি। শ্রমিক লাগে বেশি ও খরচ হয় দ্বিগুণ। শুধু আমার নয়, অনেক কৃষকের ধান নুয়ে পড়েছে। অনেকের ধান ও গরুর খড় শুকাতে পারে নাই। বৃষ্টির জন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

আরেক কৃষক ননী গোপাল সরকার বলেন, বৃষ্টির আগে কিছু জমির ধান কেটে ছিলাম। আরও প্রায় দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারি নাই। সেই দুই বিঘা জমির পাকা ধান ধমকা হাওয়ায় ও বৃষ্টিতে পড়ে গেছে। গরুর খড় শুকিয়ে উঠানে নিয়ে আসতে পারি নাই। ধান শুকাতেও পারি নাই। শ্রমিক দিয়ে নুয়ে পড়া ধান কাটতে গেলে আমার দ্বিগুণ খরচ হয়ে যাবে। এই বৃষ্টি ও বাতাসে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, বাসাইলে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যে ধানগুলো কৃষকের মাঠে রয়েছে তা কাটার যোগ্য। আচমকা বৃষ্টি ও বাতাসে ধান নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টি চলে গেলে ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি

বৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে নুয়ে পড়েছে পাকা ধান

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের। ভারী বৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে কৃষকের জমির পাকা ধান নুয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে জেলার বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিম্নচাপের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকালও মুষলধারে বৃষ্টি ও ব্যাপক বাতাস হয়। এর ফলে অনেক কৃষকের জমির পাকা ধান নুয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে গরুর খড়। ধান কাটার শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। বৃষ্টির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমিক ও কৃষকদের।

কুঁড়িগ্রাম থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিক মুহাম্মদ আলী বলেন, বাসাইলে ১২ দিন ধরে এসেছি। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। আজও সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছে। মাঠে কাজ করতে পারছি না। কাজ বাদ দিয়ে বসে আছি।

শেরপুর থেকে আসা শ্রমিক জাহিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য কাজ করতে পারছি না। গতকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বসে আছি। কাজ করতে পারলে টাকা পাব, নইলে পাব না। আজ দুইদিন ধরে আমাদের কাজ বন্ধ। এক হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করতে এসেছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমাদের বসেই দিন কাটতেছে।

কৃষক লাল মাহমুদ বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে আমার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান কাটা কষ্ট হয়ে যাবে। এই ধান কাটতে সময় লাগে বেশি। শ্রমিক লাগে বেশি ও খরচ হয় দ্বিগুণ। শুধু আমার নয়, অনেক কৃষকের ধান নুয়ে পড়েছে। অনেকের ধান ও গরুর খড় শুকাতে পারে নাই। বৃষ্টির জন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

আরেক কৃষক ননী গোপাল সরকার বলেন, বৃষ্টির আগে কিছু জমির ধান কেটে ছিলাম। আরও প্রায় দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারি নাই। সেই দুই বিঘা জমির পাকা ধান ধমকা হাওয়ায় ও বৃষ্টিতে পড়ে গেছে। গরুর খড় শুকিয়ে উঠানে নিয়ে আসতে পারি নাই। ধান শুকাতেও পারি নাই। শ্রমিক দিয়ে নুয়ে পড়া ধান কাটতে গেলে আমার দ্বিগুণ খরচ হয়ে যাবে। এই বৃষ্টি ও বাতাসে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, বাসাইলে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যে ধানগুলো কৃষকের মাঠে রয়েছে তা কাটার যোগ্য। আচমকা বৃষ্টি ও বাতাসে ধান নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টি চলে গেলে ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছি।