ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ উপলক্ষ্যে ৩ জুন থেকে চলবে বিশেষ লঞ্চ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলবে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস। আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হয়ে এই বিশেষ সার্ভিস চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৩ জুন থেকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করতে পারে। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রী উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। নৌযানে হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তবে নৌপথে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের অগ্রিম টিকিটের চাহিদা আগের মতো নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চমালিকরা। তাদের ভাষ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের জন্য যাত্রীর চাপ নেই। একসময় ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকেই যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে ভিড় করতেন। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ চিত্র বদলে গেছে। এখন মূলত যারা লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সাধারণত তারাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন।

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার আহ্বায়ক ও এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন অর রশিদ বলেন, গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যানজটের কারণে অনেক যাত্রী টার্মিনালে আসতেই চান না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। কিন্তু তেমন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ বিষয়ে প্রশাসনের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদ উপলক্ষ্যে ৩ জুন থেকে চলবে বিশেষ লঞ্চ

আপডেট সময় : ১১:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে চলবে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস। আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হয়ে এই বিশেষ সার্ভিস চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৩ জুন থেকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করতে পারে। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রী উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। নৌযানে হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তবে নৌপথে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের অগ্রিম টিকিটের চাহিদা আগের মতো নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চমালিকরা। তাদের ভাষ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের জন্য যাত্রীর চাপ নেই। একসময় ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকেই যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে ভিড় করতেন। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ চিত্র বদলে গেছে। এখন মূলত যারা লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সাধারণত তারাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন।

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার আহ্বায়ক ও এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন অর রশিদ বলেন, গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যানজটের কারণে অনেক যাত্রী টার্মিনালে আসতেই চান না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। কিন্তু তেমন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ বিষয়ে প্রশাসনের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।