খুলনা ব্যুরো রিপোর্টঃ খুলনায় এক রাতেই দুটি হত্যাকাণ্ড এবং সকালবেলায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত ও সোমবার সকালে রূপসা, সোনাডাঙ্গা এবং ডুমুরিয়া উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই তরুণ এবং এক ট্রাকচালক। পৃথক তিনটি ঘটনায় এলাকায় শোক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রূপসায় ১ যুবককে গুলি করে হত্যা
রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে রূপসা উপজেলার মোছাব্বরপুর গ্রামে মো. রনি ওরফে কালো রনি নামের ৩০ বছর বয়সী এক যুবককে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয়রা গুলির শব্দ শুনে বাইরে এসে রনির নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সোনাডাঙ্গায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
একই রাতে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ২২ তলা ভবনের পাশে ছুরিকাঘাতে খুন হন গোলাম (২৫) নামের আরেক তরুণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
ডুমুরিয়ায় ট্রাক খাদে পড়ে চালক নিহত
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ডুমুরিয়ার জিলেরডাঙ্গা এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত হন মো. আজহারুল ইসলাম নামের এক ইটবাহী ট্রাকচালক। পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে খর্নিয়ার একটি ইটভাটা থেকে কৈয়ার দিকে যাওয়া ট্রাকটির সংঘর্ষ হয়। বাসটি অতিক্রমের সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে চালক নিহত হন এবং আহত হন আরও তিনজন।
রূপসা ও সোনাডাঙ্গার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুটি হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব বিরোধ বা রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে অভিযানে নেমেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, “গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে নিহত দুই যুবকের হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও তদন্ত চলমান রয়েছে।”
একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় খুলনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল।