ঢাকা ০১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গেছে। এতে স্কুলের মাঠ, ঘরবাড়ির সামনে এমনকি মূল সড়কগুলোও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। 

সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যারা কাজকাম করে খাই, আমাদের একটু কাজ করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ বৃষ্টির মধ্যে তো বাইরে কাজ করা যায় না। আমি একটা এনজিওতে কাজ করি, সেখানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে আমার কাজ সব ফিল্ডে। এজন্য কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। আজ সকালে কিছুক্ষণ রোদ উঠেছিল, এরপর আবার বৃষ্টি শুরু হয়।”

অন্যদিকে বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মাছ ও ঘের ব্যবসায়ীরা। সাতক্ষীরার ঘের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা যারা মাছ ও ঘের ব্যবসায়ী, আমাদের জন্য এখন বৃষ্টিটা খুবই প্রয়োজন। বৃষ্টি না হলে মাছ ছাড়া যায় না। এজন্য বৃষ্টির দরকার আছে। ঘরের চালায় মাছ আছে, বৃষ্টি না হলে সেগুলো বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রবিউল হুসাইন বলেন, বৃষ্টি হলেই আমাদের বাড়িতে পানি জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় একটু বেশি বৃষ্টি হলেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ে। একদিকে কাজকর্ম করতে পারি না, অন্যদিকে ঘরের ভেতরেও দুর্ভোগ। ছোট ছোট বাচ্চারা পানির মধ্যে চলাফেরা করতে পারে না, অসুস্থ হয়ে পড়ে। পৌরসভার প্রায় সব ওয়ার্ডেই এমন অবস্থা। প্রতি বছর একই কষ্ট হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতও হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জলাবদ্ধতার কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সাধারণ মানুষের চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সাতক্ষীরায় টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গেছে। এতে স্কুলের মাঠ, ঘরবাড়ির সামনে এমনকি মূল সড়কগুলোও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। 

সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা সাজেদুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যারা কাজকাম করে খাই, আমাদের একটু কাজ করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ বৃষ্টির মধ্যে তো বাইরে কাজ করা যায় না। আমি একটা এনজিওতে কাজ করি, সেখানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে আমার কাজ সব ফিল্ডে। এজন্য কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। আজ সকালে কিছুক্ষণ রোদ উঠেছিল, এরপর আবার বৃষ্টি শুরু হয়।”

অন্যদিকে বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মাছ ও ঘের ব্যবসায়ীরা। সাতক্ষীরার ঘের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা যারা মাছ ও ঘের ব্যবসায়ী, আমাদের জন্য এখন বৃষ্টিটা খুবই প্রয়োজন। বৃষ্টি না হলে মাছ ছাড়া যায় না। এজন্য বৃষ্টির দরকার আছে। ঘরের চালায় মাছ আছে, বৃষ্টি না হলে সেগুলো বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রবিউল হুসাইন বলেন, বৃষ্টি হলেই আমাদের বাড়িতে পানি জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় একটু বেশি বৃষ্টি হলেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ে। একদিকে কাজকর্ম করতে পারি না, অন্যদিকে ঘরের ভেতরেও দুর্ভোগ। ছোট ছোট বাচ্চারা পানির মধ্যে চলাফেরা করতে পারে না, অসুস্থ হয়ে পড়ে। পৌরসভার প্রায় সব ওয়ার্ডেই এমন অবস্থা। প্রতি বছর একই কষ্ট হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বজ্রপাতও হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জলাবদ্ধতার কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সাধারণ মানুষের চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।