আফতাবনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মোট আটটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছে রাজউক। এ সময় ডেভিয়েশন (বিচ্যুতি) থাকার অভিযোগে পাঁচটি ভবনের মিটার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল থেকে আফতাবনগরের ‘এইচ’ ব্লকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা রহমান।
দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আজকে এখানে অভিযান পরিচালনা করছি। নির্মাণাধীন ভবনের নকশার সঙ্গে ডেভিয়েশনগুলো আমরা দেখেছি। যেসব জায়গায় আমরা ডেভিয়েশন পেয়েছি, তাদের বৈদ্যুতিক মিটার জব্দের নির্দেশ দিয়েছি। তাদের ডেভিয়েশনগুলো তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সেগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত না ঠিক করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বৈদ্যুতিক মিটার তারা পাবে না। আমরা আশা করছি সবাই আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, আমাদের এই অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা আছেন তারা প্রতিদিনই ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছেন।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, আজকে আমরা সকাল সাড়ে দশটা থেকে অভিযান শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে আটটি ভবনে অভিযান চালিয়েছি। এরমধ্যে আমরা সাতটিতে ডেভিয়েশন পেয়েছি। একটিতে কোনো ডেভিয়েশন ছিল না। এর মধ্যে পাঁচটি ভবন থেকে মিটার জব্দ করা হয়েছে। বাকি দুটি ভবনে আমরা চিঠি দেব, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং তাদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
রাজউকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবন নির্মানে কেউ নকশা মানেনি, কেউ রাস্তায় উপরে দখল করেছে, আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করেছে, ৫তলার অনুমোদন নিয়ে ৮তলা করেছে, পার্কিংয়ের জায়গা রাখেনি— এমন সব অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানে আরো অংশ নিয়েছেন সহকারী অথরাইজড অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, এজাজ আহমেদ, প্রধান ইমারত পরিদর্ক মো. আশরাফুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক মো. আবু তৈয়ব এবং তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত আছেন।