ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে সীমান্তে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে পাকিস্তানের সেনারা। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস বৃহস্পতিবার (১ মে) জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনারা সীমান্তে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এছাড়া গোলন্দাজ ইউনিটগুলোকে সামনের দিকে নিয়ে এসেছে। পাকিস্তান রাজস্থানের লংয়েওয়ালা সেক্টরের সীমান্তে রাডার সিস্টেম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।
অপরদিকে পাক বিমানবাহিনী একই সময়ে তিনটি আলাদা মহড়া চালাচ্ছে। এতে এফ-১৬, জে-১০ এবং জেএফ-১৭সহ সব ধরনের বড় যুদ্ধবিমান মহড়ায় যুক্ত করেছে তারা। গত ২৯ এপ্রিল থেকে বিমানবাহিনীর এসব মহড়া চলছে।
এছাড়া ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) কাছে পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনারা। আজ দেশটির সেনারা ট্যাংক, কামান, গোলা ও তাজা গুলি নিয়ে মহড়া দেয়।
সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, এই মহড়া শত্রুপক্ষের যে কোনো ধরনের আগ্রাসনকে কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য সাজানো হয়েছে। এতে বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ সেনারা অংশ নেন।
গত ২২ এপিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এ ঘটনায় পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তুলে ভারত। এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ ঘটনার পর পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল ও সীমান্ত বন্ধ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ এবং সিমলা চুক্তি স্থগিত করে।
এসবের মধ্যে গত বুধবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী হঠাৎ করে জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভারত তাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। এরমধ্যে আবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামের হামলার জবাব দিতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অপারেশনাল ফ্রিডম’ দেন। এতে পাকিস্তানে হামলার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। তবে পাকিস্তান সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি তাদের ভূখণ্ডে কোনো ধরনের হামলা হয়। তাহলে এর কঠোর জবাব দেওয়া হবে।