নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে বেকার সাংবাদিকদের অশালীন আচরণের শিকার হচ্ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। রিপোর্টার্স ইউনিটির মেম্বারশীপ দাপট এসবের পিছনে কাজ করছে।
গত শনিবার ১২ এপ্রিল এফবিসিআইয়ের একটি সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সাংবাদিককে কিল ঘুসি মারেন রাশেদুল হক নামে এক উগ্র জঙ্গি বেকার ( তার হাউজের নাম জানা নেই) সাংবাদিক। গৌতমের দোষ তিনি তাকে তার ক্যামেরার সামনে থেকে সরতে বলেছেন। সত্যিকার অর্থে প্রাইভেট চ্যানেলের অন্য ক্যামেরাম্যানরা রাশেদুলকে সরাতে গৌতম কুমারকে অনুরোধ করেন। আর রাশেদুল ভাবে গৌতম একাই তাকে সরে যেতে বলেছেন। রাশেদুল হকের পুরো ক্ষোভ গৌতমের ওপর গিয়ে পড়ে।
সাংবাদিকদের প্রতি তার অসভ্য অশালীন আচরণ ফুটে উঠেছে ভিডিও ফুটেজে। কোনো মিডিয়াতে চাকরি না করেই তিনি পেশাদার সাংবাদিক গৌতম কুমার এদবর কে রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাবার হুমকি দেন ও তার গায়ে হাত তোলেন। এর প্রতিবাদ দৈনিক সমকলের এক সাংবাদিক করলে তিনি তার গায়েও হাত তোলেন। যা ভিডিও ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গেছে।
তার এই আচরণের প্রতিবাদ জানান দৈনিক সমকালের সাংবাদিকসহ অন্যরা। তিনি তাদের কথা কর্ণপাত না করে নিজের হুমকি দিয়ে যেতে থাকেন। তার কথা বার্তা শব্দ উচ্চরণ দেখে মনে হয়েছে এই রিপোর্টার্স ইউনিটি সাংবাদিকদের জন্য না। এটা শুধু এর মেম্বারদের। কেউ ওখানে যেতে চাইলে লাগবে মেম্বারশীপ। অথচ রাজধানীর বহু মিডিয়ার সাংবাদিকদের নেই এই রিপোর্টার্স ইউনিটির মেম্বারশীপ। তাহলে তারা কি যাবে না রিপোর্টাস ইউনিটিতে? আজ এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের স্বার্থে করা প্রতিষ্ঠানে যদি সাংবাদিকরই যেতে না পারে, কিংবা হুমকি ধমকির মুখে পড়ে, তবে এই প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে কি কাজে আসবে সাংবাদিকদের? যা বর্তমান রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারাই দিবেন।
প্রতিবাদ করায় রাশেদুল দৈনিক সমকালের সাংবাদিকের গায়েও হাত তোলেন। সাংবাদিকদের কয়েকজন রাশেদুল হককে নিষিদ্ধ করার এবং তার মেম্বারশীপ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন দৈনিক সমকালের সাংবাদিক।