ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় তাদের হামলা পুনরায় শুরু করেছে, যা মানবিক সংকটকে চরমে পৌঁছে দিয়েছে। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০,৩৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১৫,০৬৩ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬২,০০০ ছাড়িয়েছে, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার নিখোঁজকে মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার শিকার হচ্ছে। হাজার হাজার শিশু হাত-পা হারিয়েছে এবং তারা চরম মানসিক ট্রমার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
গাজার আল-আহলি হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কোনও জায়গা অবশিষ্ট নেই। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোর থেকে অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার পর তিনি এ কথা জানান।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় নতুন করে ভূমি দখল ও নিরাপত্তা করিডোর তৈরি করছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে স্থায়ী বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং সংঘাতের অবসান ঘটানো।