ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেন কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল
দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চক্রান্ত চলছে

একটি দল সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেঃ মীর নেওয়াজ আলী

  • আরমান বাদল
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়বদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।

বৃহস্পতিবার ( ৩ এপ্রিল) দুপুরে তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতা কর্মীদের ঈদ পূর্ণ মিলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করে, তারা মূলত আরেকটি ১/১১ ঘটাতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল। এবারও তাই করতে একটি দল ব্যস্ত। আর সে কারণেই কোনোভাবেই এই দেশে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন হতে দেয়া যাবে না।

যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান ঢাকা কলেজের সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যেভাবে ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে, ঠিক তেমনি আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে পুরাতন ফ্যাসীবাদ পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে, একই সাথে আর যাতে কোন ফ্যাসীবাদ জাতির ঘাড়ে বসতে না পারে তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থির করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে সকলে সজাগ-সতর্ক না থাকলে কঠিন মাশুল দিতে হবে।

মীর নেওয়াজ আলী বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে, আমাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কোন শুভ ফলাফল বয়ে আনবে না। এই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কি কোনও ভূমিকা নেই? সেনাবাহিনী যদি ভূমিকা না রাখতো, তাহলে কোনও গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়া কঠিন হয়ে উঠত। যখন সেনাবাহিনী বন্দুকের নল ফ্যাসীবাদের পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই ফ্যাসীবাদের প্রধান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

চব্বিশের জুলাই এর পরিস্থিতির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে পুরান ঢাকার এই কৃতি সন্তান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো।

মীর নেওয়াজ আলী আরো বলেন, বাংলাদেশের আপমর জনগণ ও ছাত্র জনতা এখনো সজাগ আছে। এই জাগ্রত ছাত্র সমাজ সকল ফ্যাসীবাদী শক্তির পুনর্বাসনের যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সকল রাজনৈতিক দলকে যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে, দেশের কিছু পরজীবী বুদ্ধিজীবী কৌশলে ২৪ র গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলা করতে চাচ্ছে। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সকল পক্ষকেই এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন

দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চক্রান্ত চলছে

একটি দল সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেঃ মীর নেওয়াজ আলী

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়বদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।

বৃহস্পতিবার ( ৩ এপ্রিল) দুপুরে তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতা কর্মীদের ঈদ পূর্ণ মিলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করে, তারা মূলত আরেকটি ১/১১ ঘটাতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল। এবারও তাই করতে একটি দল ব্যস্ত। আর সে কারণেই কোনোভাবেই এই দেশে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন হতে দেয়া যাবে না।

যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান ঢাকা কলেজের সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যেভাবে ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে, ঠিক তেমনি আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে পুরাতন ফ্যাসীবাদ পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে, একই সাথে আর যাতে কোন ফ্যাসীবাদ জাতির ঘাড়ে বসতে না পারে তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থির করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে সকলে সজাগ-সতর্ক না থাকলে কঠিন মাশুল দিতে হবে।

মীর নেওয়াজ আলী বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে, আমাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কোন শুভ ফলাফল বয়ে আনবে না। এই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কি কোনও ভূমিকা নেই? সেনাবাহিনী যদি ভূমিকা না রাখতো, তাহলে কোনও গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়া কঠিন হয়ে উঠত। যখন সেনাবাহিনী বন্দুকের নল ফ্যাসীবাদের পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই ফ্যাসীবাদের প্রধান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

চব্বিশের জুলাই এর পরিস্থিতির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে পুরান ঢাকার এই কৃতি সন্তান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো।

মীর নেওয়াজ আলী আরো বলেন, বাংলাদেশের আপমর জনগণ ও ছাত্র জনতা এখনো সজাগ আছে। এই জাগ্রত ছাত্র সমাজ সকল ফ্যাসীবাদী শক্তির পুনর্বাসনের যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সকল রাজনৈতিক দলকে যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে, দেশের কিছু পরজীবী বুদ্ধিজীবী কৌশলে ২৪ র গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলা করতে চাচ্ছে। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সকল পক্ষকেই এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।