দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়বদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।
বৃহস্পতিবার ( ৩ এপ্রিল) দুপুরে তার নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতা কর্মীদের ঈদ পূর্ণ মিলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করে, তারা মূলত আরেকটি ১/১১ ঘটাতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল। এবারও তাই করতে একটি দল ব্যস্ত। আর সে কারণেই কোনোভাবেই এই দেশে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন হতে দেয়া যাবে না।
যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান ঢাকা কলেজের সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যেভাবে ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে, ঠিক তেমনি আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে পুরাতন ফ্যাসীবাদ পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে, একই সাথে আর যাতে কোন ফ্যাসীবাদ জাতির ঘাড়ে বসতে না পারে তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অস্থির করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে সকলে সজাগ-সতর্ক না থাকলে কঠিন মাশুল দিতে হবে।
মীর নেওয়াজ আলী বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে, আমাদের সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর যে ষড়যন্ত্র চলছে তা কোন শুভ ফলাফল বয়ে আনবে না। এই গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কি কোনও ভূমিকা নেই? সেনাবাহিনী যদি ভূমিকা না রাখতো, তাহলে কোনও গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়া কঠিন হয়ে উঠত। যখন সেনাবাহিনী বন্দুকের নল ফ্যাসীবাদের পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই ফ্যাসীবাদের প্রধান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
চব্বিশের জুলাই এর পরিস্থিতির কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে পুরান ঢাকার এই কৃতি সন্তান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে এসে না দাঁড়াত তাহলে দেশে একটি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো।
মীর নেওয়াজ আলী আরো বলেন, বাংলাদেশের আপমর জনগণ ও ছাত্র জনতা এখনো সজাগ আছে। এই জাগ্রত ছাত্র সমাজ সকল ফ্যাসীবাদী শক্তির পুনর্বাসনের যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সকল রাজনৈতিক দলকে যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে বুঝতে হবে, দেশের কিছু পরজীবী বুদ্ধিজীবী কৌশলে ২৪ র গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে জাতির মধ্যে বিভাজন তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলা করতে চাচ্ছে। এতে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে সকল পক্ষকেই এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।