মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতের সমাপ্তির জন্য একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, উভয় পক্ষই সংঘাত বন্ধ করে আলোচনায় বসবে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান পুনরায় শুরু করে।
তবে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এই প্রস্তাব গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছি, তবে সেগুলো রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে না।” রিয়াবকভ আরও উল্লেখ করেন যে, প্রস্তাবে সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে, জেদ্দায় (সৌদি আরব) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইউক্রেন মার্কিন প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানায়। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।
তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই প্রস্তাবের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বেশি লাভজনক হবে এবং কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ বা মৃত্যুদণ্ডের হুমকি দিয়েছেন। পুতিনের এই মন্তব্যের পর, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার এই অবস্থানের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ানো এবং কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তবে সকল পক্ষের সদিচ্ছা ও সমঝোতা এর সফলতার চাবিকাঠি।