ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার প্রতি অসন্তোষ

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবিত প্রত্যাখান করেছে রাশিয়া

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতের সমাপ্তির জন্য একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, উভয় পক্ষই সংঘাত বন্ধ করে আলোচনায় বসবে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান পুনরায় শুরু করে।

তবে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এই প্রস্তাব গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছি, তবে সেগুলো রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে না।” রিয়াবকভ আরও উল্লেখ করেন যে, প্রস্তাবে সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে, জেদ্দায় (সৌদি আরব) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইউক্রেন মার্কিন প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানায়। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।

তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই প্রস্তাবের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বেশি লাভজনক হবে এবং কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ বা মৃত্যুদণ্ডের হুমকি দিয়েছেন। পুতিনের এই মন্তব্যের পর, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার এই অবস্থানের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ানো এবং কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তবে সকল পক্ষের সদিচ্ছা ও সমঝোতা এর সফলতার চাবিকাঠি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার প্রতি অসন্তোষ

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবিত প্রত্যাখান করেছে রাশিয়া

আপডেট সময় : ০৪:১১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতের সমাপ্তির জন্য একটি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, উভয় পক্ষই সংঘাত বন্ধ করে আলোচনায় বসবে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য প্রদান পুনরায় শুরু করে।

তবে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এই প্রস্তাব গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছি, তবে সেগুলো রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে না।” রিয়াবকভ আরও উল্লেখ করেন যে, প্রস্তাবে সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে, জেদ্দায় (সৌদি আরব) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইউক্রেন মার্কিন প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানায়। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টা করা হবে।

তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই প্রস্তাবের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বেশি লাভজনক হবে এবং কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ বা মৃত্যুদণ্ডের হুমকি দিয়েছেন। পুতিনের এই মন্তব্যের পর, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার এই অবস্থানের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ানো এবং কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ হবে। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হতে পারে, তবে সকল পক্ষের সদিচ্ছা ও সমঝোতা এর সফলতার চাবিকাঠি।