চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লোহাগড়ার চুনতি এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। চালক একাধিকবার বাসটি থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এরই মধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন, আর আহত হন পাঁচজন।
এর আগে, ঈদের দিন সোমবার একই স্থানে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। পরদিন মঙ্গলবারও সেখানে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে আটজন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে লবণবাহী ট্রাক থেকে পানি পড়ে সড়কটি প্রায়ই পিচ্ছিল হয়ে যায়, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বারবার দুর্ঘটনা ঘটলেও এখনো সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এবং আহতদের সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন।