বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। তিনি ঈদের ত্যাগ, তাকওয়া ও সংযমের শিক্ষা নিয়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনকে পরিশুদ্ধ ও সুন্দর করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও সহমর্মিতার বার্তা তুলে ধরেন।
তারেক রহমান বলেন, “সিয়াম সাধনার এক মাস পর ঈদুল ফিতর আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। ঈদ শুধু উৎসব নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম এবং ত্যাগের এক অনন্য দীক্ষা।”
“এবারের ঈদ বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। দীর্ঘ দেড় দশক পর জনগণ গুম, খুন, অপহরণ এবং জুলুমের ভয়মুক্ত হয়ে স্বাধীন গণতান্ত্রিক পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। তাই এবারের ঈদে আনন্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার এক নতুন মাত্রা।”
ঈদের আনন্দের মাঝেও তারেক রহমান দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোকাহত পরিবারগুলোর কষ্টের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনে যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, ঈদের দিনেও হয়তো সেই সন্তানহারা মা, বিধবা স্ত্রী কিংবা এতিম সন্তানের চোখে অশ্রু থাকবে। তাদের ব্যথা আমাদের সবার ব্যথা।”
তিনি আরও বলেন, “যারা অস্ত্রের জোরে মায়েদের বুক থেকে তাদের সন্তান কেড়ে নিয়েছে, অসংখ্য পরিবারকে নিঃস্ব করেছে, তাদের বিচার একদিন হবেই।”
তারেক রহমান দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন,
“সন্তানহারা মায়েদের সান্ত্বনা দেওয়ার একমাত্র উপায় হলো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুরক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
তারেক রহমান পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন। তিনি বলেন,
“ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কেবল আনন্দের নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের প্রতীক।”
সবশেষে, দেশের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন,
“সব সংকট ও দুর্যোগ সত্ত্বেও ঈদের আনন্দকে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়া উচিত। ঈদ আমাদের মানবিকতা, সহানুভূতি এবং সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়।”
তারেক রহমান আশা প্রকাশ করেন যে, পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য আরও সুদৃঢ় করবে এবং সকল অন্যায় ও জুলুমের অবসান ঘটিয়ে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।