সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
সকাল ১০টায় মির্জাখীল দরবার শরীফের মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দরবারের বড় শাহজাদা ড. মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদ জামাতের ইমামতি করেন। জামাতে এক হাজারেরও বেশি মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ ও মোনাজাত আদায় করেন। নামাজের পূর্বে দরবার শরীফের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের জন্য নাস্তার আয়োজন করা হয়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী মুসলমানেরা এই ঈদ উদযাপন করছেন।
প্রায় আড়াই শতাব্দী ধরে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন। দরবারের মেঝ শাহজাদা মোহাম্মদ মছুদুর রহমান জানান, হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রহ.)-এর দেয়া ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে সেই অনুসারে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। এই নিয়ম মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা শত শত বছর ধরে অনুসরণ করে আসছেন।
সাতকানিয়া উপজেলার গারাংগিয়া, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা; লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি; বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডেংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর; পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা একই নিয়মে ঈদ উদযাপন করছেন।