ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
মোনতাহারের পরিবারে ঈদের খুশি যেন শোকের মাতম

ট্রেন দেখতে গিয়ে নানার সাথে প্রাণ গেল ছোট্ট মুনতাহারেরও

পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় নানা-নাতনির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহার ও তার নানা বাবুল সরদার।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল এলাকায় দোতলা সাঁকোর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের উত্তর বাঘইল এলাকার মৃত রহমত সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৫৫) ও চর-মিরকামারী এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মুনতাহার (৫)। তারা সম্পর্কে নানা ও নাতনি।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ঈদ উদযাপন করতে মুনতাহার তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ইফতারের কিছুক্ষণ আগে সে নানাকে নিয়ে রেললাইনে ট্রেন দেখতে যায়। এ সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন আসতে দেখে মুনতাহার হঠাৎ দৌড়ে রেললাইনের ওপর উঠে যায়।

নাতনিকে বাঁচাতে নানা বাবুল সরদারও এগিয়ে গেলে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুজনই ছিটকে নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুল সরদারকে মৃত অবস্থায় পান। গুরুতর আহত অবস্থায় মুনতাহারকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা রেলওয়ে থানায় খবর দেন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, এলাকাটিতে প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে, তাই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

মোনতাহারের পরিবারে ঈদের খুশি যেন শোকের মাতম

ট্রেন দেখতে গিয়ে নানার সাথে প্রাণ গেল ছোট্ট মুনতাহারেরও

আপডেট সময় : ০৩:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় নানা-নাতনির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় পাঁচ বছরের শিশু মুনতাহার ও তার নানা বাবুল সরদার।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল এলাকায় দোতলা সাঁকোর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের উত্তর বাঘইল এলাকার মৃত রহমত সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৫৫) ও চর-মিরকামারী এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মুনতাহার (৫)। তারা সম্পর্কে নানা ও নাতনি।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ঈদ উদযাপন করতে মুনতাহার তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ইফতারের কিছুক্ষণ আগে সে নানাকে নিয়ে রেললাইনে ট্রেন দেখতে যায়। এ সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন আসতে দেখে মুনতাহার হঠাৎ দৌড়ে রেললাইনের ওপর উঠে যায়।

নাতনিকে বাঁচাতে নানা বাবুল সরদারও এগিয়ে গেলে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুজনই ছিটকে নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুল সরদারকে মৃত অবস্থায় পান। গুরুতর আহত অবস্থায় মুনতাহারকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা রেলওয়ে থানায় খবর দেন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, এলাকাটিতে প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে, তাই তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।