গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২৬ মার্চ বুধবার কিশোরগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান।
আবু হানিফ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদের যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে কিছুটা ফাটল ধরেছে। যেকোনো মূল্যে এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া যাবে না, যাতে আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয়। পরাজিত শক্তি জনগণের এই ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য নানা রকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম, খুন, হত্যা চালিয়েছে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মুখে জনরোষে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখান থেকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
আবু হানিফ সতর্ক করে বলেন, “সামনে ঈদ, মানুষ ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত থাকবে, তখন আওয়ামী লীগ দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে তারা। তাই প্রশাসনসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই স্বাধীনতাকে একটি বিশেষ গোষ্ঠী হাইজ্যাক করেছিল। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাইজ্যাক হওয়া সেই স্বাধীনতা উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকেই কৌশলে ১৯৭১ এবং ২০২৪ কে মুখোমুখি করার চেষ্টা করেন, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। আমরা ১৯৭১ এবং ২০২৪ কে মুখোমুখি করতে চাই না। ১৯৭১ এবং ২০২৪ দুটিই আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
আবু হানিফ আরও বলেন, “সম্প্রতি অনেকেই বলেন যে, আগেই ভালো ছিলাম। কারা বলে আগেই ভালো ছিলাম, সেটা চিন্তা করতে হবে। যারা আগে চাঁদাবাজি করতো, দখলদারি, লুটপাট করতো, তাদের সেই অপশন এখন বন্ধ। ফলে তারা বলে আগেই ভালো ছিলাম। যারা বলে আগেই ভালো ছিলাম, তাদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। তারা ভেতরে ভেতরে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৪ মার্চ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে ব্যানারে আগুন ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ হামলায় উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এস ডি হৃদয় ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির আহমেদকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে।