ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
অংশীদারি ব্যবসার চুক্তি করে ইথার মারিয়েল হামিদের অভিনব প্রতারনার অভিযোগ

ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসার নামে ভয়ংকর প্রতারণা

ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারণার জাল বিস্তার অভিযোগ উঠেছে ইথার মারিয়েল হামিদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল কমার্শিয়াল এলাকায় উপরিউক্ত ব্যাক্তিটি কখনো নিজেকে ট্রাভেল ব্যবসায়ী, কখনো পাইলট, আবার কখনো বিমানবালা পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এক ভূক্তভোগী মামলা দায়ের করেছেন।

সিফাত জিনা নামের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা মামলা (মামলা নং ২১৫/২০১৪) থেকে জানা যায়, যিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে ড্রাইট অ্যাটেনড্যান্ট হিসেবে কর্মরত এই ইথার মারিয়েল হামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগের কথা বলে ইথার তার কাছ থেকে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সিফাত জিনা জানান, গত ১৯ নভেম্বর ২০২৩ সালে তিনি ইথার মারিয়েল হামিদের প্ররোচনায় একটি অংশীদারি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ইথারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘কারিমেল টার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার ঠিকানা ২৪/১৫ দিলকুশা বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা। চুক্তি অনুযায়ী, সিফাত জিনা তার ব্যাংক হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন এবং বাকি টাকা নগদ পরিশোধ করেন। কিন্তু পরে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত চাইলে ইথার মারিয়েল হামিদ কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তাকে তার অফিস ও বাসা থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী অংশীদার।

প্রতারণার শিকার হয়ে সিফাত জিনা প্রথমে মুগদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১১৮১, তারিখ ২২/৫/২০১৪) করেন সিফাত জিনা। কিন্তু এরপর ইথার মারিয়েল হামিদ তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২১২/২০২৫, ধারা ৪২০/৪০৬/২০৬)। আদালতে ইথার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনো অর্থ ফেরত দেননি এবং সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ফলে গত ২৯ মার্চ ২০১৭ সালে আদালত তার জামিন বাতিল করে এবং পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অবশেষে মুগদা থানার পুলিশের সহযোগিতায় গত ২৫ মার্চ ২০২৫ সালে ইথার মারিয়েল হামিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার গুরুত্ব ও প্রতারকের পালানোর সম্ভাবনা বিবেচনায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই ঘটনায় সাধারণ জনগণকে প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

অংশীদারি ব্যবসার চুক্তি করে ইথার মারিয়েল হামিদের অভিনব প্রতারনার অভিযোগ

ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসার নামে ভয়ংকর প্রতারণা

আপডেট সময় : ১১:০৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যবসার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারণার জাল বিস্তার অভিযোগ উঠেছে ইথার মারিয়েল হামিদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল কমার্শিয়াল এলাকায় উপরিউক্ত ব্যাক্তিটি কখনো নিজেকে ট্রাভেল ব্যবসায়ী, কখনো পাইলট, আবার কখনো বিমানবালা পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এক ভূক্তভোগী মামলা দায়ের করেছেন।

সিফাত জিনা নামের এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা মামলা (মামলা নং ২১৫/২০১৪) থেকে জানা যায়, যিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে ড্রাইট অ্যাটেনড্যান্ট হিসেবে কর্মরত এই ইথার মারিয়েল হামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে বিনিয়োগের কথা বলে ইথার তার কাছ থেকে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সিফাত জিনা জানান, গত ১৯ নভেম্বর ২০২৩ সালে তিনি ইথার মারিয়েল হামিদের প্ররোচনায় একটি অংশীদারি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। ইথারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘কারিমেল টার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার ঠিকানা ২৪/১৫ দিলকুশা বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা। চুক্তি অনুযায়ী, সিফাত জিনা তার ব্যাংক হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন এবং বাকি টাকা নগদ পরিশোধ করেন। কিন্তু পরে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত চাইলে ইথার মারিয়েল হামিদ কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তাকে তার অফিস ও বাসা থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী অংশীদার।

প্রতারণার শিকার হয়ে সিফাত জিনা প্রথমে মুগদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১১৮১, তারিখ ২২/৫/২০১৪) করেন সিফাত জিনা। কিন্তু এরপর ইথার মারিয়েল হামিদ তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২১২/২০২৫, ধারা ৪২০/৪০৬/২০৬)। আদালতে ইথার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কোনো অর্থ ফেরত দেননি এবং সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ফলে গত ২৯ মার্চ ২০১৭ সালে আদালত তার জামিন বাতিল করে এবং পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অবশেষে মুগদা থানার পুলিশের সহযোগিতায় গত ২৫ মার্চ ২০২৫ সালে ইথার মারিয়েল হামিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার গুরুত্ব ও প্রতারকের পালানোর সম্ভাবনা বিবেচনায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই ঘটনায় সাধারণ জনগণকে প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।