ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
ইদানিং রাজনীতিতে ইফতারের গুরুত্ব বেড়েছে

চরমপন্থা ও উগ্রবাদ রুখতে ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের

  • আবুল মনসুর
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

দেশের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চরিত্র অটুট রাখতে চরমপন্থা ও ধর্মীয় উগ্রবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

২০ মার্চ বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে বলেছেন, চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের সংকট আরও গভীর হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিএনপি আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (জাফর)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, গণহত্যাকারী ও পলাতক মাফিয়া চক্রকে বিচারের সম্মুখীন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য জনগণের ভোটাধিকার ও মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি উল্লেখ করেন, “শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য মাফিয়া সরকারের পতন ঘটেনি, বরং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ফলেই তারা ক্ষমতা হারিয়েছে। সুতরাং, নির্বাচন কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার উপায় নয়, বরং এটি জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়।”

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। কিন্তু যদি তারা সময়ক্ষেপণ করে বা গৌণ ইস্যুকে মুখ্য হিসেবে উপস্থাপন করে, তাহলে জনগণের আস্থায় সংকট সৃষ্টি হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ কঠিন হয়ে উঠবে।”

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমাদের একত্রিত হতে হবে। ফ্যাসিবাদী শাসনের দেড় দশকের শোষণ শুধু রাজনীতি ও অর্থনীতিকেই ধ্বংস করেনি, বরং আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধেও আঘাত হেনেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকেই এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জনগণের ভোটাধিকারের লড়াই চালিয়ে যাব। গণতন্ত্র রক্ষায় সব দল ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।”

(সূত্র: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য)

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

ইদানিং রাজনীতিতে ইফতারের গুরুত্ব বেড়েছে

চরমপন্থা ও উগ্রবাদ রুখতে ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের

আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

দেশের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চরিত্র অটুট রাখতে চরমপন্থা ও ধর্মীয় উগ্রবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

২০ মার্চ বুধবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে বলেছেন, চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের সংকট আরও গভীর হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিএনপি আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (জাফর)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

তারেক রহমান বলেন, গণহত্যাকারী ও পলাতক মাফিয়া চক্রকে বিচারের সম্মুখীন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য জনগণের ভোটাধিকার ও মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি উল্লেখ করেন, “শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য মাফিয়া সরকারের পতন ঘটেনি, বরং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ফলেই তারা ক্ষমতা হারিয়েছে। সুতরাং, নির্বাচন কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার উপায় নয়, বরং এটি জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়।”

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। কিন্তু যদি তারা সময়ক্ষেপণ করে বা গৌণ ইস্যুকে মুখ্য হিসেবে উপস্থাপন করে, তাহলে জনগণের আস্থায় সংকট সৃষ্টি হবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ কঠিন হয়ে উঠবে।”

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমাদের একত্রিত হতে হবে। ফ্যাসিবাদী শাসনের দেড় দশকের শোষণ শুধু রাজনীতি ও অর্থনীতিকেই ধ্বংস করেনি, বরং আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধেও আঘাত হেনেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকেই এই ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জনগণের ভোটাধিকারের লড়াই চালিয়ে যাব। গণতন্ত্র রক্ষায় সব দল ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।”

(সূত্র: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য)