ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
ভালো থাকা ও উন্নত খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে অপহরণ

টাঙ্গাইলে রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধার, আটক ১

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশন থেকে অপহরণের শিকার সাত বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী আল-আমিন (২০) কে আটক করেছে পুলিশ।

১৭ মার্চ সোমবার দুপুর আনুমানিক ১২:১৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত শিশু রাইয়ান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চেঙ্গাকান্দি দারুল কোরআন মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ রাইয়ানকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল-আমিনকে আটক করে। ভিকটিম ও অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল।

জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ দুপুরে অপহরণকারী আল-আমিন রাইয়ানকে ভালো থাকা ও উন্নত খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। এরপর টঙ্গী এলাকায় এনে আটকে রাখে এবং ভিকটিমের বাবার মোবাইলে ইমু অ্যাপে ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। দর কষাকষির পর ভিকটিমের বাবা বিকাশের মাধ্যমে তিন কিস্তিতে মোট ৪০,০০০ টাকা (১৫,০০০+১৫,০০০+১০,০০০) মুক্তিপণ হিসেবে প্রদান করেন।

তবে মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পরও শিশুটিকে পরিবারের কাছে ফেরত না দিয়ে ট্রেনে করে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে আসে অপহরণকারী। সেখানে শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ট্রেন ও স্টেশনে জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার পরিকল্পনা করে। প্রাণের ভয়ে রাইয়ান কারো কাছে কিছু প্রকাশ করার সাহস পায়নি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেলওয়ে পুলিশের এই সফল অভিযানের ফলে এক শিশুর জীবন রক্ষা পেল। এ ধরনের অপহরণ ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃত শিশুকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং আটক অপহরণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

ভালো থাকা ও উন্নত খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে অপহরণ

টাঙ্গাইলে রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধার, আটক ১

আপডেট সময় : ১১:২৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশন থেকে অপহরণের শিকার সাত বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী আল-আমিন (২০) কে আটক করেছে পুলিশ।

১৭ মার্চ সোমবার দুপুর আনুমানিক ১২:১৫ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত শিশু রাইয়ান নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চেঙ্গাকান্দি দারুল কোরআন মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ রাইয়ানকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আল-আমিনকে আটক করে। ভিকটিম ও অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল।

জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ দুপুরে অপহরণকারী আল-আমিন রাইয়ানকে ভালো থাকা ও উন্নত খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। এরপর টঙ্গী এলাকায় এনে আটকে রাখে এবং ভিকটিমের বাবার মোবাইলে ইমু অ্যাপে ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। দর কষাকষির পর ভিকটিমের বাবা বিকাশের মাধ্যমে তিন কিস্তিতে মোট ৪০,০০০ টাকা (১৫,০০০+১৫,০০০+১০,০০০) মুক্তিপণ হিসেবে প্রদান করেন।

তবে মুক্তিপণের অর্থ পাওয়ার পরও শিশুটিকে পরিবারের কাছে ফেরত না দিয়ে ট্রেনে করে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে আসে অপহরণকারী। সেখানে শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ট্রেন ও স্টেশনে জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার পরিকল্পনা করে। প্রাণের ভয়ে রাইয়ান কারো কাছে কিছু প্রকাশ করার সাহস পায়নি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেলওয়ে পুলিশের এই সফল অভিযানের ফলে এক শিশুর জীবন রক্ষা পেল। এ ধরনের অপহরণ ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃত শিশুকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং আটক অপহরণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার।