ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী

রাজবাড়ীতে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মিঠুন গ্রেফতার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ী সদর থানার আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মিঠুন (২৮) কে র‌্যাব-১০ একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে। রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং- ৩৭, তারিখ- ২৯/০১/২০২৫, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এবং ৩৮৫/৩৮৬ দণ্ডবিধির অধীনে গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হিসেবেই তাকে আটক করা হয়।

১৭ মার্চ সোমবার দুপুর আনুমানিক ৩টায় রাজবাড়ী সদর থানার আলাদিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। তার বাড়ী রাজবাড়ী সদর থানার শ্রীপুর বাজারে এবং তার পিতার নাম রহমত বলে জানা যায়।

গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজবাড়ী সদর থানার শ্রীপুর এলাকায় ভিকটিমের (২২) ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে মেহমান হারুন (৪০)। কিছুক্ষণ পর আসামি মিঠুনসহ অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম ও হারুনকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার মিথ্যা অভিযোগ এনে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা হারুনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং জোরপূর্বক নগদ ১০ হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে ৬৭ হাজার টাকা আদায় করে। বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে, ২৯ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৪টা ৪০ মিনিটে মিঠুনসহ অন্যান্য আসামিরা পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানার পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব-১০-এর অধিনায়কের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং পলাতক আসামিদের শনাক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজবাড়ী সদর থানার আলাদিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

ডিএমপির সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ভিকটিমের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী

রাজবাড়ীতে গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মিঠুন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

রাজবাড়ী সদর থানার আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মিঠুন (২৮) কে র‌্যাব-১০ একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে। রাজবাড়ী সদর থানার মামলা নং- ৩৭, তারিখ- ২৯/০১/২০২৫, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এবং ৩৮৫/৩৮৬ দণ্ডবিধির অধীনে গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজির ঘটনায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হিসেবেই তাকে আটক করা হয়।

১৭ মার্চ সোমবার দুপুর আনুমানিক ৩টায় রাজবাড়ী সদর থানার আলাদিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। তার বাড়ী রাজবাড়ী সদর থানার শ্রীপুর বাজারে এবং তার পিতার নাম রহমত বলে জানা যায়।

গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজবাড়ী সদর থানার শ্রীপুর এলাকায় ভিকটিমের (২২) ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে মেহমান হারুন (৪০)। কিছুক্ষণ পর আসামি মিঠুনসহ অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম ও হারুনকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার মিথ্যা অভিযোগ এনে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা হারুনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং জোরপূর্বক নগদ ১০ হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে ৬৭ হাজার টাকা আদায় করে। বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে, ২৯ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৪টা ৪০ মিনিটে মিঠুনসহ অন্যান্য আসামিরা পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানার পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব-১০-এর অধিনায়কের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং পলাতক আসামিদের শনাক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজবাড়ী সদর থানার আলাদিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

ডিএমপির সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ভিকটিমের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা হবে।