ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলেন কোরিয়ার বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল
নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরেই যার উত্থান

একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক আলীরাজ অসাধারন প্রতিভাবান শিল্পী

  • আবুল মনসুর
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আলীরাজ একটি সুপরিচিত নাম। ১৯৫৭ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণকারী আলীরাজের আসল নাম ছিল ডব্লিউ আনোয়ার। সিরাজগঞ্জে বর্ণালী ক্লাবের সাথে অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তরুণ সম্প্রদায়, দুর্বার, সংলাপ থিয়েটারে কাজ করেন। ঢাকায় এসে ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন, যেখানে হুমায়ূন ফরিদী, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফার মতো গুণী শিল্পীদের সাথে কাজ করেন।

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে অভিনয় করেন, যা নায়করাজ রাজ্জাকের নজরে আসে। রাজ্জাকের পরামর্শে চলচ্চিত্রে আসেন এবং তার নাম পরিবর্তন করে আলীরাজ রাখা হয়।

আলীরাজের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সৎ ভাই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রটি সে সময়ের ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রগুলোর একটি, যা মাত্র ৩ লাখ টাকা বাজেটে নির্মিত হয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করে। তার ৩৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ১২০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১৬ সালে ‘পুড়ে যায় মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

আলীরাজের পারিবারিক জীবনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা যায়, তিনি বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আলীরাজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এখনও চলচ্চিত্র ও বিনোদন জগতে সক্রিয় রয়েছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন।

আলীরাজের অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে সৎ ভাই যেটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায় এবং পুড়ে যায় মন যেটি ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আলীরাজের অবদান অনস্বীকার্য। তার অভিনয় দক্ষতা ও প্রতিভা দর্শকদের মনে আজও অমলিন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন

নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরেই যার উত্থান

একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক আলীরাজ অসাধারন প্রতিভাবান শিল্পী

আপডেট সময় : ১০:২৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আলীরাজ একটি সুপরিচিত নাম। ১৯৫৭ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণকারী আলীরাজের আসল নাম ছিল ডব্লিউ আনোয়ার। সিরাজগঞ্জে বর্ণালী ক্লাবের সাথে অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তরুণ সম্প্রদায়, দুর্বার, সংলাপ থিয়েটারে কাজ করেন। ঢাকায় এসে ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন, যেখানে হুমায়ূন ফরিদী, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফার মতো গুণী শিল্পীদের সাথে কাজ করেন।

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে অভিনয় করেন, যা নায়করাজ রাজ্জাকের নজরে আসে। রাজ্জাকের পরামর্শে চলচ্চিত্রে আসেন এবং তার নাম পরিবর্তন করে আলীরাজ রাখা হয়।

আলীরাজের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সৎ ভাই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এই চলচ্চিত্রটি সে সময়ের ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রগুলোর একটি, যা মাত্র ৩ লাখ টাকা বাজেটে নির্মিত হয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করে। তার ৩৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ১২০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১৬ সালে ‘পুড়ে যায় মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

আলীরাজের পারিবারিক জীবনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা যায়, তিনি বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আলীরাজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এখনও চলচ্চিত্র ও বিনোদন জগতে সক্রিয় রয়েছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন।

আলীরাজের অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে সৎ ভাই যেটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায় এবং পুড়ে যায় মন যেটি ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আলীরাজের অবদান অনস্বীকার্য। তার অভিনয় দক্ষতা ও প্রতিভা দর্শকদের মনে আজও অমলিন।