টঙ্গীর সাপ্তাহিক পাখির হাট দীর্ঘদিন ধরে পাখি প্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে এখানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পাখি, যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতি রবিবার গাজীপুরের টঙ্গীতে বসে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাখির হাট। এখানে বৈধভাবে খাঁচার পাখি বিক্রির অনুমতি থাকলেও, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নিষিদ্ধ ও সংরক্ষিত পাখির অবৈধ বেচাকেনা। শালিক, দোয়েল, ময়না, টিয়া, এমনকি চিল ও বাজপাখির মতো শিকার নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণীও বিক্রি হচ্ছে এখানে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী জানান, “আমরা তো খাঁচার পাখি বিক্রি করি, কিন্তু অনেকেই বাইরে থেকে ধরে আনে। বন বিভাগ মাঝেমধ্যে আসে, কিন্তু পরে আবার শুরু হয়।”
২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে নির্দিষ্ট কিছু পাখি শিকার, আটক এবং বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে আইনের তোয়াক্কা না করেই চলছে এই অবৈধ ব্যবসা।
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু জনগণের সচেতনতা দরকার, না হলে এটি পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন।”
পরিবেশবিদদের মতে, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি আর জনগণের সচেতনতা ছাড়া এ ধরনের হাটগুলো থেকে বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
টঙ্গীর পাখির হাট যেন বন্যপ্রাণী কেনাবেচার কেন্দ্র না হয়, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। নিয়মিত অভিযান এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।