ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে যুব মহিলালীগ নেত্রী লুনা হোসেন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন ট্রাম্পের ‘শুল্ক বোমা’র আগে চীনের রপ্তানি ১২.৪% বৃদ্ধি ভারত থেকে ইউনুসকে সতর্ক বার্তা শেখ হাসিনার বেকার সাংবাদিক রাশেদুলের নিগ্রহের শিকার গৌতম আবারও ৮ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিচ জব্দ করেছে বংশাল থানা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ১৮ রানে চেন্নাই কে হারালো পাঞ্জাব এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ: ডিএনএ রিপোর্টে হিটু শেখের জড়িত থাকার প্রমাণ
রমজানে সকল প্রকার দ্রব্যমূল্য কমানোর তাগিদ বিএনপি নেতার

রমজানে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মীর নেওয়াজ আলী

  • আরমান বাদল
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

রমজানে অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুব বিষয় সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ আলী।

গতকাল এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে রোযাদারদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান সংযমের মাস। আত্মশুদ্ধি অর্জন ও কুপ্রবৃত্তি দমনের মাস। এ মাসে প্রতিদিন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ফরজ করা হয়েছে। এ মাস ইবাদতের বসন্ত। এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। তাই অসহায় ও দরিদ্রদের রোজা রাখার ব্যাপারে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী দিয়ে তাদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

রমজানের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে তার নিজ বাসভবনে তারাবি নামাজ শেষে মীর নেওয়াজ আলী বলেন ‘আল্লাহ তাআলার হুকুম মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে গোটা বছরের জন্য ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।

এ মাসে শারীরিক ইবাদতের পাশাপাশি আর্থিক ইবাদতেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী (সা.) এ মাসে প্রচুর পরিমাণে সদকা করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) কল্যাণের কাজে ছিলেন সর্বাধিক দানশীল, বিশেষভাবে রমজান মাসে। (তাঁর দানশীলতার কোনো সীমা ছিল না) কেননা, রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তিনি তাঁকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি কল্যাণের জন্য প্রবহমান বায়ুর চেয়েও বেশি দানশীল হতেন।

এ ছাড়া রমজানে রোজাদারদের ইফতারির ব্যবস্থা করা একটি যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। তাই পবিত্র রমজান আমরা একটু সংযত হয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারি।

খোঁজ নিলে দেখা যাবে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর হয়তো বহু মানুষের সাহরি-ইফতার জোগাতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়লেও বেশির ভাগ মানুষের আয় কিন্তু বাড়েনি। আমরা যদি একটু সংযত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তাদের রোজা রাখা অনেক সহজ হবে। এই মূহুর্তে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো সবচেয়ে জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মীর নেওয়াজ আলী আরো বলেন, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানপাত্র থেকে, যার মিশ্রণ হবে কাফুর। এমন এক ঝরনা, যা থেকে আল্লাহর বান্দারা পান করবে, তারা এটিকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা মানত পূর্ণ করে এবং সে দিনকে ভয় করে, যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত। তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দিকে খাদ্য দান করে। তারা বলে,আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং

চলমান পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মানুষই বিপাকে আছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা পরিবারের ব্যয়ভার বহন নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছে। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতেও যদি নিজেরা একটু মিতব্যয়ী হয়ে অন্যদের সহযোগিতা করা যায়, তাহলে আল্লাহর কাছে এর উত্তম প্রতিদান পাওয়া যাবে।

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাদের সুনাম করেছেন, তাদের জন্য উত্তম।

তা ছাড়া আমাদের রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ, তাঁর ওপর ভরসা করে যদি আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তিনি আমাদের রিজিকেও বরকত দেবেন ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন, পবিত্র রমজানে আমরা সকলে ব্যয় ও খাবারেও সংযত হয়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াই, হয়তো মহান আল্লাহ এর উসিলায় আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেবেন।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায়: অভিযুক্ত আশরাফুল তিন দিনের রিমান্ডে

রমজানে সকল প্রকার দ্রব্যমূল্য কমানোর তাগিদ বিএনপি নেতার

রমজানে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মীর নেওয়াজ আলী

আপডেট সময় : ০৫:২৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

রমজানে অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুব বিষয় সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ আলী।

গতকাল এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে রোযাদারদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান সংযমের মাস। আত্মশুদ্ধি অর্জন ও কুপ্রবৃত্তি দমনের মাস। এ মাসে প্রতিদিন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ফরজ করা হয়েছে। এ মাস ইবাদতের বসন্ত। এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। তাই অসহায় ও দরিদ্রদের রোজা রাখার ব্যাপারে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী দিয়ে তাদের প্রতি সহযোগীতার হাত বাড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

রমজানের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে তার নিজ বাসভবনে তারাবি নামাজ শেষে মীর নেওয়াজ আলী বলেন ‘আল্লাহ তাআলার হুকুম মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে গোটা বছরের জন্য ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।

এ মাসে শারীরিক ইবাদতের পাশাপাশি আর্থিক ইবাদতেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী (সা.) এ মাসে প্রচুর পরিমাণে সদকা করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) কল্যাণের কাজে ছিলেন সর্বাধিক দানশীল, বিশেষভাবে রমজান মাসে। (তাঁর দানশীলতার কোনো সীমা ছিল না) কেননা, রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তিনি তাঁকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি কল্যাণের জন্য প্রবহমান বায়ুর চেয়েও বেশি দানশীল হতেন।

এ ছাড়া রমজানে রোজাদারদের ইফতারির ব্যবস্থা করা একটি যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। তাই পবিত্র রমজান আমরা একটু সংযত হয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারি।

খোঁজ নিলে দেখা যাবে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর হয়তো বহু মানুষের সাহরি-ইফতার জোগাতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়লেও বেশির ভাগ মানুষের আয় কিন্তু বাড়েনি। আমরা যদি একটু সংযত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তাদের রোজা রাখা অনেক সহজ হবে। এই মূহুর্তে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো সবচেয়ে জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মীর নেওয়াজ আলী আরো বলেন, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানপাত্র থেকে, যার মিশ্রণ হবে কাফুর। এমন এক ঝরনা, যা থেকে আল্লাহর বান্দারা পান করবে, তারা এটিকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা মানত পূর্ণ করে এবং সে দিনকে ভয় করে, যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত। তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দিকে খাদ্য দান করে। তারা বলে,আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং

চলমান পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ মানুষই বিপাকে আছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা পরিবারের ব্যয়ভার বহন নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছে। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতেও যদি নিজেরা একটু মিতব্যয়ী হয়ে অন্যদের সহযোগিতা করা যায়, তাহলে আল্লাহর কাছে এর উত্তম প্রতিদান পাওয়া যাবে।

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাদের সুনাম করেছেন, তাদের জন্য উত্তম।

তা ছাড়া আমাদের রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ, তাঁর ওপর ভরসা করে যদি আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তিনি আমাদের রিজিকেও বরকত দেবেন ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন, পবিত্র রমজানে আমরা সকলে ব্যয় ও খাবারেও সংযত হয়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াই, হয়তো মহান আল্লাহ এর উসিলায় আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেবেন।