রাজধানীর কাফরুল এলাকায় চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার পলাতক এজাহারনামীয় আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম আরিফ (৪৮)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নারায়নগঞ্জ সদর থানার খানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রধান ধর্ষককে গ্রেফতার করে র্যাব ১০ এর একটি আভিযানি দল।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় বসবাসকারী ভিকটিম (২৭) স্বামী পরিত্যাক্তা হওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। একই এলাকায় বসবাসকারী মো. নজরুল ইসলাম আরিফ (৪৮) সহ অন্যান্য সহযোগীগণ ভিকটিমকে মালয়েশিয়া গার্মেন্টসের কাজে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা বেতনের প্রলোভন দেখায়। পরবর্তীতে ভিকটিম তাদেরকে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং পাসপোর্ট প্রদান করেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় ঐ স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে গার্মেন্টসের কাজে ট্রেনিং এর কথা বলে রাজধানীর কাফরুল থানার গোল্ডেন আবাসিক হোটেল এর ৫ম তলায় নিয়ে যায়। ভিকটিম কোন কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই ধর্ষক মো. নজরুল ইসলাম আরিফ (৪৮)’সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিমকে একটি রুমে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং আসামীগণ বিদেশে ভিকটিমকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাবে মর্মে হুমকী প্রদান করে। পরের দিন সকাল আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম (৪৮) ধর্ষনের বিষয়টি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানায়। এরপর ভিকটিম এর অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করতঃ ভিকটিম বাদী হয়ে ডিএমপি, ঢাকার কাফরুল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত গণধর্ষণে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক র্যাব-১০ বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
উল্লেখ্য, নজরুল ইসলাম আরিফ যাত্রাবাড়ী থানার ধোলাইরপাড় এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের সন্তান। ভূক্তভোগী মহিলা তার বিরুদ্ধে করেছে যার মামলা নং হলো; কাফরুল থানার মামলা নং-০৩,তারিখ-০৪/০২/২০২৫ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(৩)/৩০ গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ৯নং আসামী ছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।